নাটোরের নলডাঙ্গায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৮মে) রাতে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইয়াকুব আলী।
অভিযোগ পেয়ে বৃস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক ইয়াকুব আলী নলডাঙ্গা শহীদ নজমুল হক সরকারী কলেজের শরীর শর্যা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইয়াকুব আলী ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অবসর প্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী জয়নব খাতুন দম্পতি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ই্য়াকুব আলী শয়নঘরে দরজা খুলে বাথরুমে যায়।
এ সুযোগে আগে থেকে বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে থাকা ৩ জন ডাকাত শয়নঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে শিক্ষক দম্পতিকে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা নগট ১২ হাজার টাকা ও জয়নব খাতুনের দুই হাতে থাকা স্বর্ণের বালা ও গলার চেইন এবং কানে থাকা স্বর্ণে দুটি দুল খুলে তিনটি মোবাইল নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইয়াকুব আলী ও তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যান সহকারী জয়নব খাতুন বলেন,আমার মুখ চেপে ধরে চাকু দিয়ে জিম্মি করে আমার স্ত্রীর শরীর থেকে স্বর্ণের গহনা খুলে নেয় এবং ঘরে থাকা নগট ১২ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল নিয়ে যায় মুখোসধারী ডাকাতরা।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দস্পতি বাড়িতে ৩ জন অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার নগট টাকা লুট হয়েছে।তবে এটা ডাকাতি না এ ঘটনা চুরি বলে স্বীকার করেন।এ ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।অপরাধীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।