রাজবাড়ীর কালুখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুত্বর আহত ৮ জন কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামের মৃত মাছেম ফকির এর ছেলে হাজী মোঃ মাহাতাব উদ্দিন ফকির বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সংগ্রামপুর মৌজার ৩৪১ নং দাগে ১২ শতাংশ নিজের ভোগদখলকৃত জমিতে পাট ও তিল রোপনকৃত জমিতে কাজ করার জন্য হাজী মোঃ মাহাতাব ফকির, মশিউর রহমান ফকির, শাহিদুল ইসলাম, আকমল ফকির ও ইব্রাহিম ফকির যায়। এসময় একই গ্রামের আজিজ ফকির এর পুত্র আসাদুল ফকির, ওয়াজেদ ফকিরের পুত্র ওহিদুজ্জামান, ইনজামুল, মৃত আইনদ্দিন ফকিরের পুত্র আজিজ ফকির ও ওয়াজেদ ফকির সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলার খবর পেয়ে হাজী মাহতাব উদ্দিন ফকিরের পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে মোঃ মাহাতাব ফকির, মশিউর রহমান ফকির, শাহিদুল ইসলাম, আকমল ফকির ও ইব্রাহিম ফকির, লিপি খাতুন, মাহমুদা বেগম, ফরিদা আসিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে হাজী মাহাতাব উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসাদুল ফকির আমার ভাগ্নের ছেলে। সে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে। আগেরদিন রাতে ছুটিতে বাড়ীতে এসে পরের দিন সকালে তার নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুক।
অভিযুক্ত আসাদুল ফকির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে বুধবার (৭ মে) বলেন, আমি ঢাকাতে আছি। আমি বাড়ীতেই যাইনি। আপনি আমার কন্ট্রোল এর সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) আবারও যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে বাড়ীতে আসি। ওরা আমাদের উপর হামলা করে। আমিও আহত হয়েছি। আমার পিঠে ৭টি সেলাই লেগেছে। রাজবাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। একজন আসামী গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।