ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের আলোচিত বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষনের শিকার হওয়া নিহত শেফালী বেগম(৫০) এর মেয়ে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
ওই মামলার অপর আসামী মোঃ সবুর খালাসী(৪৮) কে বুধবার মধ্যরাতে ফরিদপুর র্যাব-১০ ও সদরপুর থানা পুলিশের অভিযানিকদল তাকে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়’টায় দিকে সদরপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর কোর্ট আদালতে তাকে সোপর্দ করে। সে উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিন খালাসীর পুত্র।
ঘটনা প্রঙ্গত ও নিহত পরিবারের ভাষ্যমতে, ২০২৫ সালের ১৯শে এপ্রিল রাত ১১টার দিকে খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে আড্ডা দেয়। আড্ডার এক পর্যায়ে শেফালী রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের বাইরে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভিটায় তাকে ধর্ষণ করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তাকে বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারীর ভাগ্নি ওই ইউপি সদস্য কে দেখে ফেলে। ওই সময় অসুস্থ্য অবস্থায় ওই নারীকে সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ২০এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
ঘটনার কয়েক দিন পর প্রধান আসামি মোঃ মোমজের খালাসীকে আটক করা হলেও তার আরও দুই সহযোগী সবুর খালাসীসহ অজ্ঞাত একজন পালাতক ছিলেন। গত ২৫শে এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামী কে র্যাব-১০ তাকে আটক করে। আটককৃত ইউপি সদস্য মোঃ মোমরেজ খালাসী সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লাল মিয়া খালাসীর ছেলে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই মামলার আরেক আসামী মোঃ সবুর খালাসীকে আটক করা হয়েছে।