সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রাহকের ১২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে উদ্দীপন নামে একটি এনজিও ম্যানেজার জায়েদ আহমদ এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর উদ্দীপনের অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে থানায় যোগাযোগ করতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এনজিও উদ্দীপনের ম্যানেজার জায়েদ আহমদ ম্যানেজার থাকার সময় বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদে লেনদেন করেছেন।
আবার অনেক গ্রাহকেরা কাছ থেকে হাওলাতের কথা বলে ২লাখ, ১লাখ সহ বিভিন্ন পরিমানের টাকা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ছিল। গত মে মাসের ২৯তারিখ গ্রাহকের টাকা নিয়ে জমা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে অফিসের লোকজন বসে ম্যানেজারের টাকা নিয়ে জমা দিচ্ছনা এমন অভিযোগ অনেকের কাছে পাওয়া যায় বলে জানা যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ৩০ তারিখে প্রতারক উদ্দীপনের ম্যানেজার জায়েদ আহমদ পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। পরে তার অফিসের লোকজন থাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। থানা জিম্মায় রাখা হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল হোসাইনের রুমে উপজেলার অভিযোগ করা ১৭জন গ্রাহককে নিয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা আলোচনা করে বিকাশ নগদ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়া প্রমাণ পাওয়ায় টাকা ফেরত দিতে প্রতারক জায়েদ আহমদকে বলা হয়।
এ ব্যাপারে প্রতারিত হওয়া রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হেলন মিয়া বলেন, প্রতারক ম্যানেজার জায়েদ আহমদ এর সাথে আমার ৩ বছরের পরিচয় ছিল। আমি তার মাধ্যমে ৩টি থেকে ৪ টি লোন তুলেছি। গতমাসে আমাকে হঠাৎ করে বলে তার পরিবারের মা অসুস্থতার কথা বলে আমি তাকে ২লাখ টাকা তুলে দিতাম। সরল বিশ্বাসে আমি নতুন করে আরো ৩ লাখ টাকা লোন তুলি।
১লাখ টাকা আমার কাছে রাকি ও ২ লাখ টাকা প্রতারক জায়েদ আহমদকে দিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আমার মত করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ লাখ নিয়েছে। পরে আমি অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতারক জায়েদ আহমদ ধরে থানায় নিয়ে আসে।
সে থানায় আসার আগে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছে স্বীকার করে। থানায় আলোচনার মধ্যে আমার টাকা নেওয়ার প্রমাণ না থাকায় টাকা দেওয়া হবে না বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে প্রতারক জায়েদ আহমদ এর মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
প্রতারণার বিষয়ে এনজিও উদ্দিপনের রিজিনাল ম্যানেজার নুরুল হক বলেন, তাদের ম্যানেজার জায়েদ আহমদ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা প্রতারণা করে নিয়েছে। তাকে ধরে জগন্নাথপুর থানায় দিয়েছেন। যাদের কাছে টাকা দেওয়া প্রমাণ আছে থানা পুলিশ ম্যানেজারের কাছ থেকে টাকা এনে গ্রাহকের কাছ থেকে দেবে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করেছি। এ বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। সমাধান হয়ে গেলে ভাল। যেহেতু এটা প্রতারণা কোর্টে মামলা করতে হবে।