সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পরামর্শে প্রথমবার জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রবাসীদর অনাবাদি পতিত জমি গুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে পাইলগাঁও ইউনিয়নের দুটি কৃষি ব্লকে ২৫ বিঘা জমিতে এডিপি এর অর্থায়নে তিল চাষ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে তিল কর্তন উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ ও উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ। তিল কর্তন উৎসবে পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমীর আফজাল ও সুমন চন্দ্র দাস সহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উদ্যোগে যেগুলো পতিত জমি রয়েছে সেগুলো চাষের আওতায় আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে ২৫ বিঘা জমিতে তিলের চাষ করেছি, তিল অত্যন্ত একটি লাভজনক ফসল, জগন্নাথপুর উপজেলায় তিলের চাষ হয়না, এই প্রথম তিলের চাষ করা হয়েছে, আমরা স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জমি গুলো নিয়েছি, এখানে লাভের ৩০ ভাগ কৃষকরা পাবেন এবং ৭০ ভাগ লাভের অর্থ উপজেলা কৃষি অফিসের তহবিলে গঠন করে জমা রাখা হবে, পরবর্তীতে চাষের জন্য কৃষকদের মধ্যে এই অর্থ দেওয়া হবে। তিল কর্তনের উদ্বোধন করেছি, ফলন ভালো হয়েছে, আশাবাদী কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তীতে তিল চাষাবাদ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া স্যারের পরামর্শ ক্রমে আমরা উপজেলা পরিষদের এডিপি থেকে প্রবাসীদের পতিত জমিতে তিল চাষের জন্য একটি প্রকল্প নিয়ে ছিলাম, যে জমি গুলো পতিত থাকে সে জমি গুলো চাষের আওতায় আনা, পাইলগাঁও ইউনিয়নের দুটি ব্লকে ২৫ বিঘা জমিতে তিলের চাষবাদ করেছি, আজ তিল কর্তন শুরু হলো, খুবই ভালো ফলন হয়েছে, জগন্নাথপুর কৃষি অফিস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষকদের সাথে নিয়ে যারা জমি দিয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিল গুলো পরিপক্ব করেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
যাযাদি/ এসএম