কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেছেন- ধরলা নদীর ড্রেজিং- এর কাজ চলমান থাকায় নদী ভাঙ্গন হ্রাস পেয়েছে। যার সুফল পেতে শুরু করেছে ধরলা নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী চলাঞ্চলের মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১ টায় বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভরা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধরলা নদীর খনন বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা আরও বলেন, ধরলা নদীতে ড্রেজিং- এর মাধ্যমে উত্তোলিত বালু দ্বারা জনকল্যাণমূলক কাজ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান মিজান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু ও অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন, কুড়িগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত শ্রমিক- কর্মচারী ঐক্যজোটের সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, সাংবাদিক সাঈদ আহমেদ বাবু প্রমুখ।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য- ২৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালে ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য কুড়িগ্রামের ধারনা নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২২.২ কিলোমিটার এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৫ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ধরলা নদীর ড্রেজিংয়ের এ চলমান কাজ সমাপ্ত হবে আগামী ২০০৭ সালে। পুরো কাজ বাস্তবায়নে নদী গুলির নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাঙ্গনের প্রকোপ বহুলাংশে হ্রাস পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।এসময় তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করুক। আইইএলটিএস কোর্স সেই লক্ষ্য পূরণের এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক। তিনি বলেন, এই কোর্স শিক্ষার্থীদের কেবল ইংরেজি শেখাবে না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস, মানসিক প্রস্তুতি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেকে গড়ে তুলবে।
কোর্সটিতে বাছাই করা প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস পরীক্ষার লিসনিং, রিডিং, রাইটিং এবং স্পিকিং এই চারটি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। থাকবে নিয়মিত ক্লাস, মক টেস্ট ও পার্সোনাল গাইডেন্সের সুবিধা।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা GIZ ও জার্মান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান KiK-এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল ভাষাগত দক্ষতা অর্জনই নয়, বরং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, গবেষণা প্রপোজাল রচনা ও স্কলারশিপ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করবে।
উদ্যোগটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং ও পরিচিতি বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে