নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা সুপারের যোগদানকে কেন্দ্র করে চাঁদা চাওয়ায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ওই ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন মাঝগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবুল ইসলাম শিপন, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সাইদুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী হৃদয় আহমেদ, ইয়ামিন হোসেন, ফিরোজ হোসের, শাকিল আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত আকিব।
সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলছিল। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শিহাব মঞ্চে উঠে মাইক কেড়ে নিয়েসিভা পন্ড করার চেষ্টা করে। তার অভিযোগ স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়া সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত জনতা এর প্রতিবাদের এক পর্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, শিহাব বেশ কিছুদিন যাবত সুপার আবুল হোসেন সাঈদীর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী
শিহাব চাঁদাদাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুপার আবুল হোসেন সাঈদীকে অনিয়মের অভিযোগে ২৮ বছর আগে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
কিছুদিন যাবত মাদরাসায় গোপনে কাগজ পত্রে সাক্ষর করা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তিনি গোপন ভাবে মিটিংয়ের আয়োজন করেন। আমিসহ গ্রামের মুরুব্বীরা গিয়ে বলী আপনার কারনে মাদরাসার মামলা চালাতে গিয়ে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সেই টাকা দিয়ে মাদরাসায় যোগদান করতে হবে।
সুপার আবুল হোসেন সাঈদী বলেন, আমি ২৮ বছর মামলা চালিয়ে আমার পক্ষে রায় হয়। আমি সেই মোতাবেক গত নভেম্বর মাসে মাদরাসায় যোগদান করি। কিন্তু ছাত্রদল সভাপতি ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসতেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ইউএনও ও মাদরাসা পরিচালানা কমিটির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার অভিভাবক সমাবেশে যোগদান করার কথা ছিল। গিয়ে দেখি সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।