বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়ার পানি নিষ্কাশনে বহুদিনের প্রতীক্ষিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫ কিউসেক পাম্প দু’টি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জার্মান থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজটি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়।
কিন্তু বন্দরে কর্মবিরতি চলমান থাকার কারণে পণ্য খালাস হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবার নাগাদ পাম্প শোলমারী রেগুলেটরে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, খুলনা জেলাধীন ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা সিমান্তবর্তী খর¯্রােতা শোলমারী-সালতা নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে গত ৪ বছর আগে। বর্তমান নদীটি প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। গত বছর বর্ষাকালে ভারি বর্ষনে বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। বর্তমান গেটের মুখে পলি পড়ে অচল অবস্থায় পড়ে আছে শোলমারি ১০ ভেন্টের রেগুলেটরটি। আবারো বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার হুমকীতে রয়েছে অঞ্চলটি। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে পানি নিষ্কাশনের লক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় ৩৫ কিউসেক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি পাম্প বরাদ্দ হয়।
একটি পাম্পে প্রতি সেকেন্ডে ১ হাজার লিটার পানি নিষ্কাশন হবে। প্রতীক্ষিত সেই পাম্প দু’টি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। ২মাস লাগে জার্মান থেকে পণ্যবাহি কনটেইনার জাহাজটি বন্দরে পৌঁছাতে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমান জানান, ডুমুরিয়ার শোলমারী রেগুলেটরে স্থাপনের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ২৫ কিউসেক পাম্প দুটি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বন্দরে কর্মবিরতি চলমান থাকার কারণে পণ্য খালাস হতে বিলম্ব হচ্ছে। আশাকরি আগামী শনিবার নাগাদ পাম্প শোলমারী রেগুলেটরে পৌঁছাবে।