ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ার পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের চাপও বেড়েছে। ফলে মহাসড়কে গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে কাঙ্খিত পরিবহন পাচ্ছেন না।
এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় ও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে জেলা পুলিশের ৬ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।
মহাসড়কের এলেঙ্গায় কথা হয় রাজশাহীর যাত্রী সুমন ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, একদিকে মহাসড়কে গণপরিহন সংকট। অন্যদিকে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণেও বেশি। অন্য সময়ে ৩০০ টাকা দিয়ে রাজশাহী যেতেন। এখন ৬০০ থেকে
অপর যাত্রী সোহানুর রহমান জানান, ঈদ আসলে পরিবহন চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।
বগুড়ার যাত্রী অসীম সরকার জানান, তিনি একঘণ্টার ওপরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু কাঙ্খিত পরিবহন পাচ্ছেন না। তার মতো অনেককে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
কুড়িগ্রামের যাত্রী নুরুজ্জামান, রকিবুল, আমজাদ আলী জানান, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। এমন ভোগান্তির শেষ কোথায়?
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কেউ তার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।