মাদারীপুর জেলার বৃহত্তর টেকেরহাট বন্দরের গরুর হাট পরিদর্শন করেছেন মাদারীপুর র্যাব-৮ কর্মকর্তা ও সদস্যরা। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের গরু হাটে বিশৃঙ্খলা রোধে ও জাল টাকা সনাক্ত করনের লক্ষ্যে হাট পরিদর্শন করেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের মধ্যে সব থেকে বড় গরুর হাট মিলে টেকেরহাট বন্দরে। এ হাটটি ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে ব্যপক খ্যাতি রয়েছে।
সপ্তাহে একদিন প্রতি বুধবার মিলে এই গরুর হাটটি। তবে ঈদ-উল-আযহার আগ মূহুর্তে শনিবারও হাট মিলে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে হওয়ায় ঈদ-উল-আযহার আগ মূহুর্তের হাটগুলোতে বেশ বেগ পোহাতে হয়। মোবাইল চোর, পকেট মার, ছিনতাইকারীদের আনাগোনাও বেড়ে যায়।
এজন্য প্রতিবছর এই দিনগুলোতে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও বিশৃঙ্খলা রোধে সকল ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার রাখা হয়।গরু হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, বাগেরহাট, বরিশাল, গোপালগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টেকেরহাটে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আসেন। এখানে চাহিদার তুলনায় সকল ধরনের গরু পাওয়া যায়। এতে খুশি হন ক্রেতা, বিক্রেতাসহ গরু ব্যবসায়ীরা।
পরিদর্শন শেষে মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, আগামী ৭ই জুন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে র্যাবও কাজ করছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও গরু-ছাগলের হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমাদের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছি। সারারাত হাইওয়েতে নিরাপত্তা দিয়ে বিশেষ টিম কাজ করে যাচ্ছে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও চাঁদাবাজ সহ কোন অপরাধ যেন প্রকাশ না পায় সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা ও বিশেষ টিম কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, গরুর হাটের হাসিল সরকারি নির্ধারিত টাকার বেশি নিচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে কিনা, চাঁদা আদায় করছে কিনা এবং যারা গরু কিনতে এসেছে তারা ঠিক মতো ঘরে পৌঁছেছেন কিনা সেইসব বিষয় নিরাপত্তা দিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।