আগামী ০৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ডামুড্যা উপজেলার কামাররা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। এই ঈদে গরু, ছাগল, উটকে কোরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।
যেহেতু কোরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যার কামার-শালা গুলো।
ডামুড্যা উপজেলার সাবেক মিতালী সিনেমা হলের পাশে গেলেই চোখে পড়ে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততম জীবন চিত্র। সামনে আগুনের শিখায় তাপ দেয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটি, চাপাতি ও ছুরি। পশু কোরবানিতে এ সব অতিব প্রয়োজনীয়। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের।
ডামুড্যা পৌরসভার কামার শিল্পী পলাশ কর্মকার জানান, বছরের বেশির ভাগ সময়ই আমাদের কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাতে হয়। দুই তিন দিন হলো বেচাকেনা একটু বাড়ছে। ঈদুল আযহা এলেই মনে হয় যেন আমাদের ভাগ্যের সুদিন এসেছে। তাই নিরলস পরিশ্রম করে তৈরী করি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি।