রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী ষ্ট্রেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে রেললাইন অবরোধ কর্মসুচীতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোর রাত থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোন ট্রেন চলাচল করতে পারেনি।
দীর্ঘক্ষন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীরা। তবে সকাল সাড়ে আটটার পরে ১৬ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ঘোষনার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
তবে রাজশাহী পশ্চিাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক এর দাবি ঢাকায় থেকে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া নন্দনগাছী ষ্ট্রেশনে ট্রেন থামানো আমার জন্য সম্ভব নয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নন্দনগাছী ট্রেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসুচী পালন কর আসছিল চারঘাট,পুঠিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার জনসাধারন। এসব কর্মসুচীতে একত্বতা প্রকাশকরে ট্রেন থামানোর আল্টিমেটাম দিয়ে আসছিল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
সর্বশেষ বৃধবার ভোর থেকে পুনরায় ট্রেন থামানোর দাবিতে অবরোধ কর্মসুচী শুরু করে স্থানীয় জনতা। ভোর থেকে সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ আন্ত:নগর ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
রে আড়াই ঘন্টা পর সকাল সাড়ে আটটায় বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ আগামী ১৬ জুনের মধ্যে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করা না হলে ১৯ তারিখ থেকে আবারো কঠোর কর্মসুচীর ঘোষনা দেন। আড়াইঘন্টা পরে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী পশ্চিমাাঞ্চলের মহাব্যবস্থপক আহম্মেদ মাসুম জানান, এভাবে ঈদের পরে ট্রেন বন্ধ করে অবরোধ করা খুবই দু:খজনক। এটা জনদুর্ভোগ ছাড়া কিছুই নেই। ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকে না আসলে আমার পক্ষে ট্রেন থামানো কোনভাবেই সম্ভব নয়।
আড়াইঘন্টা পরে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান তিনি।