যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা নিতে পারছেন না রোগীরা। চতুরদিকে পানিবন্দী থাকার কারনে বর্ষা ছয় মাস রোগীশূন্য থাকে বড়দল নতুন হাটি কমিউিনিটি ক্লিনিকটি।
উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নে বড়দল গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে ২০২২ সালে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। বড়দল গ্রামের পশ্চিমে গ্রাম থেকে কিছুটা দুরে মাটিয়ান হাওরে স্থাপিত এ ক্লিনিকটিতে হেমন্ত কালে যোগাযোগ করা সহজ হলেও বর্ষাকালে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পরে।
বর্ষাকালে মাটিয়ান হাওরে পানি প্রবেশ করার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে যায় কমিউনিটি ক্লিনিক। তখন আর কোন রোগী আসেনা এখানে।
এমনকি ক্লিনিকে দায়িত্বরত লোকজনও নিয়মিত ক্লিনিকি আসতে পারেন না। আসতে না পারার কারনে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বড়দল সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন।বড়দল পুরান হাটি গ্রামের ফয়সল আহমদ জানান,যতক্ষনে ছোট নৌকা খুজে রোগি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে যাবো ততক্ষনে তাহিরপুর সদর হাসপাতালেই যাওয়া যায়।
বড়দল ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সামায়ুন কবির বলেন,বর্ষাকালে ক্লিনিকে যাওয়ার মত কোন সড়ক নেই। একটা বাশের ছাটাই দিলেও লোকজন ক্লিনিকে যেতে পারতো।
কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নহিদা আক্তার আখি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে অফিসে এসে বসে আছি। এখন দুপুর ১টা বাজে এখনো একজন রোগী আসেনি। তাছাড়া এমনও দিন যায় বড়দল গ্রামে কোন রকম এসে পৌঁছলেও ছোট নৌকা না পাওয়ার কারনে ক্লিনিকে আর আসতে পারি না।’
স্বাস্থ্য পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিনিকে রোগী আসা কঠিন। আমরাই অনেক সময় যাতায়াত করতে পারি না।’
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্না কর্মকর্তা ডাক্তার মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, হেমন্ত মৌসুমে কিছু রোগী আসে। বর্ষাকালে যাতায়াত সুবিধা না থাকায় রোগীদের আসতে একটু সমস্যা হয়।