নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোগডাবুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর বাড়িতে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চিলাহাটি পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন তার বাড়িতে এ চুরির ঘটনাটি ঘটে। রোববার রাতে বাড়িতে চেতনা নাশক ঔষধ ছিটিয়ে বাড়ির সবাইকে অচেতন করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চোরেরা বাড়িতে ঢুকে স্টিলের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৩০লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর ছেলে সাজি বলেন, মধ্যরাতে কে বা কারা রান্নাঘরের জানালার শিক কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে।
এরপর তারা সুকৌশলে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে আমাদের সবাইকে অচেতন করে আলমারি ঘরের বাইরে বের করে তালা ভেঙে ৮ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ আমার ও আমার বাবার রক্ষিত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
সকাল ৯ টার দিকে আমার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ঘরের এলোমেলো অবস্থা দেখে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে বাড়ির লোকজন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুকে ডাক্তারি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন হাসপাতালে পাঠান।
চোরেরা সিসি ক্যামেরাগুলো আগেই ভেঙে ফেলে, মোবাইল ফোনগুলো সরিয়ে নেয় এবং পরে বাড়ির আশপাশে ফেলে রেখে যায়। ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু জানান, ইট, খোয়া এবং সিমেন্টের বাকেয়া টাকা পরিশোধ করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ২৫লাখ টাকার আমি একটি বিল উত্তোলন করি।
দলীয় কাজে ব্যস্ততার কারনে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারি নাই। এটা হয়তো জানতে পেরে চোরেরা সুযোগ নেন।