বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

দুই দশকেও শেষ হয়নি কানাইদিয়া ব্রিজ নির্মাণ

  ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
দুই দশকেও শেষ হয়নি কানাইদিয়া ব্রিজ নির্মাণ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মাণাধীন কানাইদিয়া-কপিলমুনি ব্রিজ -যাযাদি

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা

নির্মাণকাজ শুরুর দুই দশকেও শেষ হয়নি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের ওপর কানাইদিয়া-কপিলমুনি ব্রিজ নির্মাণকাজ। নানা কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ব্রিজ নির্মাণের সব কার্যক্রম। কপোতাক্ষের এপাড়ে তালা উপজেলা অন্যপাড়ে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা। নির্মাণাধীন ব্রিজটির এক প্রান্ত পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি অন্যপ্রান্ত তালা উপজেলার কানাইদিয়া।

দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কপিলমুনিকে কেন্দ্র করে নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা ব্রিটিশ শাসনামল থেকে করে আসছিল। কানাইদিয়া-কপিলমুনি ব্রিজ সাতক্ষীরা সদর হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনার উদ্যোগ তখন নেয়া হয়েছিল। পরবর্তী বিভিন্ন সময় সরকারের পটপরিবর্তনে ব্রিজ নির্মাণ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে দুই জনপদের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করে। কাজ শুরু করলেও সে সময় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আংশিক নির্মাণের পর বন্ধ হয়ে যায়। এতে সরকারের প্রায় দুই কোটি টাকা গচ্চা যায়।

সূত্র জানায়, ব্রিজটি নির্মাণে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৯১৯ টাকা ৫৫ পয়সা। কাজের মান ও উপকরণ সামগ্রির মূল্যবৃদ্ধি এবং স্রোতের তোড়ে নদীর ওপর নির্মিত পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরবর্তীতে এর ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় দুই কোটি ৩৬ লাখ টাকায়। ২০০৩ সালের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আংশিক কাজ করার পর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্রিজটির বাকি কাজ সম্পন্ন করতে উদ্যাগ নিলেও বাধ সাধে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ব্রিজটি কপোতাক্ষ নদের স্রোতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে মর্মে একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠালে ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে গত প্রায় দুই দশকেও বাস্তবায়ন হয়নি কানাইদিয়া-কপিলমুনি ব্রিজ।

সর্বশেষ তালা-কলারোয়ার এমপি মুস্তফা লুৎফুলস্নাহ পুনরায় ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও স্থান নিয়ে মতদ্বন্দ্ব নতুন করে সংকট সৃষ্টি করেছে। ব্রিজটি নির্মাণ করে খুলনা-সাতক্ষীরার অবহেলিত জনপদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি দুই জেলার সড়ক যোগাযোগে ভূমিকা রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে