সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কৃষকরা ইরি-বোরো ধানকাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছে। স্বপ্নের চকচকে সোনালী পাকা ধান কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করছে। নতুন ধানের সৌরভ ও পাখির কলতানে এখন মুখরিত মাঠগুলো। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্য বিলের জমির প্রায় সব ধানই ঘরে উঠবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
পাটকেলঘাটার তৈলকুপির বিলের বোরো চাষি আমানাত মোড়ল বলেন-চলতি মৌসুমের উৎপাদন বিঘা প্রতি গেল বছরের চেয়ে ৪ থেকে ৫ মণ বেশি হবে। প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। কৃষক আমানাত আলী বলেন অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় তিনি ধান রোপন করেন। আগাম চাষ করায় ধান কাটতে শ্রমিকের মজুরী কম ও বেশি দামে ধান বিক্র করতে পারবেন। তবে জমিতে সময় মতো সার সেচ ও পরিচর্যা করায় রোগবালাই কম বলে জানান তিনি।
আকবার গাজী নামে অপর এক চাষি বলেন-নতুন ধানের বাজার দর ভালো। প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণ দরে। তবে অনেক চাষী বলেন নাবী জাতের ধান নিয়ে তারা রয়েছে দুশ্চিন্তায় যে ধান কাটতে এখনও প্রায় একমাস সময় লাগবে।
বিলের জমি থেকে উৎপাদিত ধান এখন ঘরে তোলা’ই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ হিসেবে চাষিরা বলেন, কালবৈশাখী ও শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হয় কৃষকের।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা বেগম বলেন, মওসুমে উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলায় দু-এক জন কৃষক ধান কাটা শুরু করেছে। পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হতে আরও ১০/১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানান।
যাযাদি/এস