মহিষ বাংলাদেশের একটি অমূল্য সম্পদ। বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মহিষ পালনের মাধ্যমে খামারিরা আরও লাভবান হতে পারেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনকারী খামারিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ রাজাবাড়িহাটে সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই)।
সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায়। এতে গোদাগাড়ী উপজেলার ২৫ জন সুফলভোগী মহিষ খামারি অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, "সঠিকভাবে ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক প্রয়োগ এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মহিষ পালন করলে এই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় খামারিদের পাশে রয়েছে।"
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। তিনি বলেন, "গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সময়মতো ও বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করলে মহিষের মৃত্যু হার অনেকাংশে কমে আসে।"
মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে খামারিরা সভায় বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং তার সমাধানে সরকারিভাবে সহযোগিতা চান। তারা প্রশিক্ষণ, ঋণসহায়তা, পশু চিকিৎসা ও আধুনিক প্রযুক্তির সহজ লভ্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মানিক মিয়া, যিনি অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের মতবিনিময় সভা খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।