রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুরে মালটা চাষী মিজানের মুখে হাসি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৫

মিজানুর রহমান এক উদ্যমী চাষী। সে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কর্ম করেও স্বাবলম্ভী হতে পারেনি। ক’বছর পূর্বে দেশে ফিরে এসে ফলফলাদির চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখে।

তিনি কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের খিলা গ্রামের বাসিন্দা। কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন হতে পারে এনিয়ে সে কৃষি বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলে ফলফলাদির চাষ নিয়ে। তারপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রামের আওতায় (এনএটিপি-২) বারি মালটা -০১ জাতের মালটা চাষের উদ্যোগ নেয়। কৃষি বিভাগ থেকে গ্রহণ করে ১৪৪টি চারা কলম। এছাড়াও নিজ খরচে আরো ১৬টি চারা ক্রয় করে ১বিঘা জমিতে রোপন করে ১৬০টি চারা কলম।

কৃষি বিভাগের সার্বিক নির্দেশনায় এসব চারা কলমের পরিচর্চা করে আসছে মিজান। বর্তমানে এসব মাল্টাগাছে ধরেছে প্রচুর মাল্টা।

গাছগুলো লাগানো হয়েছে ১০ ফুট দূরুত্বে। মধ্যবর্তীতে বেড তৈরি করে লাগানো হয়েছে পেয়াঁজ, আদা, হলুদ, মরিচ ও টমেটো।

মিজান জানায়, এসব শাক শব্জি এখন তার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি অর্থ উপার্জনের পথ সুগম করছে।

এছাড়া জমির চারপাশে লাগিয়েছে সারি সারি সুপারি, নারকেল ও জাম্বুরা গাছ।

প্রতিদিন এসব গাছের পরিচর্চায় ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিজান। তার মাঝে নেই যেন ক্লান্তি-শ্লান্তি। সে এখন সাধারণ চাষী নয়, বৃক্ষপ্রেমী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে এলাকার লোকজনের নিকট। প্রতিটি গাছে ডজন ডজন মাল্টা ধরায় মিজানের মুখে এখন হাসি। তিনি আশাবাদী তাঁর স্বপ্ন পূরন হচ্ছে। প্রতিদিন এই মাল্টা চাষ পদ্ধতি দেখার জন্য মিজানের বাগানে ছুটে আসছে লোকজন।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোফায়েল হোসেন বলেন, মিজানের মালটা বাগানসহ অন্যান্য বাগান পরিদর্শণ করেছি। তাঁর মাল্টা গাছগুলো বেশ রিষ্ট-পুষ্ট হয়ে বেড়ে উঠেছে। প্রতিটি গাছেই এখন শোভা পাচ্ছে মাল্টা। মাস দু’য়েক পরেই মিজান মাল্টা বাজারজাত করতে পারবে। মিজানের মালটা চাষ হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে। মিজান কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করে মালটাসহ বিভিন্ন ফলফলাদির বাগান গড়ে তুলেছে। মাল্টা চাষে সে সফল হবে বলে আশাবাদী। তাঁর এ মাল্টা চাষ আমরা মডেল হিসাবে গ্রহণ করবো।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে