শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:১৭
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ২ সপ্তাহের বন্যায় তাদের ধান, সবজি বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সেই জমিতে দেরিতে হলেও রোপা আমন চাষ করে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা কেউ ঘরে বসে নেই। কেউ জমি তৈরি করছেন। কেউবা চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জমি নরম থাকায় তাদের বাড়তি সেচ প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে চারা রোপণে দেরি হওয়ায় ফলন কম এবং রবি শস্য চাষে ব্যাঘাত হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

থানাহাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ী গ্রামের সাদেকুর রহমান জানান, তার পনের শতাংশ জমিতে লাগানো রোপা ধানের চারা বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি নেমে যাওয়ার পর সেই জমিতে আবারো চারা রোপণ করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।

একই ইউনিয়নের পেদিখাওয়া এলাকার আফজাল হোসেন জানান, ধার দেনা করে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলাম। সেই ধানের আবাদ বন্যার পানিতে পঁচে গেছে। আবারো লাগাতে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।

চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি এলাকার ফাইদুল ইসলাম জানান, বন্যায় তার ১২০ শতাংশ জমির ধানগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। চারা সংগ্রহ করে আবারো লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে বন্যার কারণে এ উপজেলায় ২০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকদেরকে চড়া দামে রোপা আমনের চারা কিনতে হচ্ছে।

উপজেলায় ৭২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান খেত নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে জানান, কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে