বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অনেক কৃষক লাল ফুল জাতের শিম চাষ করে সাফলতার স্বপ্ন দেখছেন। ভৈরব নদীর পাড় সহ বিভিন্ন স্থানে পতিত জমিতে সুতো ও বাঁশের তৈরি মাচার উপর মেলে ধরেছে শিম গাছের কচি ডগা। কচি ডগার মধ্যে উঁকি দিচ্ছে লাল ফুল। কৃষি বিভাগ জানান অত্র উপজেলার মাটি আগাম সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। এতে করে কৃষকরা অফসিজিন শিম চাষে আশার আলো দেখছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলায় এবার প্রায় ২’শ কৃষক শিম চাষ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বীজ রোপনের ৪৫ দিন পর থেকে শিম গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করে বলে তারা জানান।
উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক আফতাব শেখ জানান, তিনি অন্য ফসলের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মত কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সহযোগিতায় লাল ফুল জাতের শিম চাষ করেছেন। তিনি ভৈরব নদীর পাড়ে দুই একর পতিত জমিতে এই শিমের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। তিনি আস্বিন মাসের দিকে শিম চাষ শুরু করেন। অফসিজিনে বর্তমানে তিনি প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন শিম তুলে বাজারে বিক্রি করেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৩০হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। বাজারে এ শিমের চাহিদা থাকায় ও ভাল দাম পাওয়ায় তিনি সাফলতার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আগাম শীত কালীন হিসেবে শিম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। এরই ধারাবাহিকতায় ফকিরহাটে পতিত জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। আমাদের এখানে পতিত জমিতে এবার প্রচুর গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ হয়েছে। এবার অনেক সবজি চাষি ব্যাপকভাবে লাল ফুল জাতের শিমের চাষ করেছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। আগাম শিম চাষে ফলন ও দাম দুটোই তারা ভাল পাচ্ছেন।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিম শীতকালীন সবজি হলেও আমাদের দেশে আগাম শিমের চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে আগাম শিম চাষ করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই কৃষকদের দিন দিন এই আগাম জাতের শিম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা করছি।
যাযাদি/ এস