শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চৌদ্দগ্রামে শীতকালিন সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

নিত্য প্রয়োজনীয় ভোজ্যপণ্য পেঁয়াজ, রসুন, আটা-ময়দাসহ মশলার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতকালীন সবজির দাম। প্রতি বছর শীত মৌসুমী সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এবার দেখা যাচ্ছে ভীন্ন চিত্র। গড়ে প্রতি কেজি সবজি ৭০-৮০ টাকা এমনকি শীতকালীন সবজি শিম ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

এতে করে প্রত্যেকে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক সবজি কিনে কোনরকমে বাজার ত্যাগ করছেন। অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন ভোক্তা অধিদপ্তর কিংবা ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত অভিযান হলে এসব সবজির দাম কিছুটা কম রাখতো ব্যবসায়ীরা। তবে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বারবার বৃষ্টি হানা দেয়ায় এবছর শীতকালিন সবজির আশানুরুপ ফলন হয়নি। এছাড়াও কুমিল্লার নিমসার থেকে এসব শীতকালিন আনা নেয়ায় যাতায়াত খরচও প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। তাই এবছর শীতকালিন সবজির দাম একটু বেশি।

গত সোমবার (২২শে জানুয়ারী) সরেজমিনে চৌদ্দগ্রাম বাজার এবং মিয়াবাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, আলু-৬০, পেঁয়াজ-১০০-৮০, পেঁয়াজের কলি-৪০-৫০, বরবটি- ১০০-১২০, দেশী সিম- ৯০-১০০, কাঁচা মরিচ-৮০, পেঁপে- ৩৫/৩০, পাতাকপি (কেজি)- ৫০-৬০, লাউ-৮০-১০০, গোল বেগুন-৫০-৬০, গাজর-৫০, দেশী গুটি বেগুন-৮০-৯০, মুলা-৪০, ঝিঙ্গা-৬০-৭০, সিমের বিচি- ১৮০-২০০, করোলা- ৬০-৭০, ক্ষিরা-৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রহমান জানান, মাছ-মাংস কেনাতো ছেড়ে দিয়েছি, এখন সবজি কিনে খাওয়াও কঠিন হয়ে গেল। আজ বাজার থেকে একটা ফুলকপি কিনেছি ৬০ টাকা দিয়ে। শীতকালে প্রতিবছর এসব সবজির দাম খুবই কম থাকে, কিন্তু এই বছর বাজারের পরিস্থিতি ঠিক উল্টো।

চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকার অটোরিক্সা চালক মোঃ রাসেল বলেন, প্রতিবছরের এই সময়ে আলু কিনতাম মাত্র ১০-১৫ টাকা দরে, টমেটো, শিম ছিল ২০-৩০ টাকা দরে। কিন্তু এবছর ভরা মৌসুমেই এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে- ৬০-১০০ টাকা দরে। এভাবে চলতে থাকলে সবজি কিনেও সংসার চালানো সম্ভব হবেনা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে