শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
রোজায় বাজার তবুও অস্থির

নিম্ন-মধ্যবিত্তের ইফতার ও সেহরির আইটেম কাটছাঁট

সাখাওয়াত হোসেন
  ১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৫
-ফাইল ছবি

ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ও আমিনুল ইসলাম তাদের ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে কখনো খেজুর ছাড়া ইফতার করেননি। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং হালিম, বেগুনি, চপ, পেঁয়াজু ও ছোলা ভুনাসহ সাত থেকে আট ধরনের মুখোরোচক খাবার ছিল ইফতারির নিয়মিত আইটেম। এবারই প্রথম ইফতারের জন্য কোনো খেজুর কেনেননি এই দম্পতি। ফল ও হালিমও বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইফতারির তালিকা থেকে। সেহেরিতে দুধ-কলা-গুড় দিয়ে খাবার শেষে করার যে রেওয়াজ তৈরি হয়েছিল তা-ও এবার ভাঙতে হচ্ছে।

শুধু এ দম্পতিই নন, স্বল্প আয়ের লাখ লাখ পরিবার একইভাবে ইফতার ও সেহেরি থেকে দুই-তিন কিংবা তারও বেশি আইটেম কাটছাঁট করছে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত কেউ কেউ ভাত-রুটির মতো নিয়মিত খাবার দিয়ে ইফতার-সেহেরি সারার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর অতি দরিদ্র অনেকের খাবারের রুটিন থেকে ‘ইফতারি’ শব্দটিই পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে। তারা শুধু পানি মুখে দিয়ে রোজা ভেঙে হয়তো কিছু সময় পর রাতের খাবার খাবেন। রামপুরা এলাকার মুদি দোকানি শহর আলী বলেন, সামর্থ্যবান অনেকের কাছে ইফতার-সেহেরি কাটছাঁট করার এ বিষয়গুলো হয়তো অতিরঞ্জিত মনে হবে। তবে তার মতো নিম্নআয়ের মানুষের কাছে এটাই কঠিন বাস্তবতা। তিন-চার আইটেমের খাবার দিয়ে ইফতারি করা, তাদের কাছে এখন শ্রেফ বিলাসিতা- যোগ করেন এই দোকানি।

নির্ধারিত স্বল্প বেতনের চাকরিজীবীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। তারা না পারছেন রাতারাতি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা কিংবা অন্য কোনো পেশায় জড়াতে। না পারছেন বেতন বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে। তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা, বস্ত্র ও শিক্ষা খাতের ব্যয়ে যতদূর সম্ভব লাগাম টানার পর বেশ আগেই খাবারের বাজেট কাটছাঁট করেছেন। এ শ্রেণির মানুষের কাছে ইফতার-সেহেরিতে নতুন করে কাঁচি চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু ইফতারি কিংবা সেহেরির খাবারই নয়, চাল-ডাল-পেঁয়াজসহ সব ধরনের নিত্য খাদ্যপণ্যের দামই লাগামহীনভাবে বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জোরালো তদারকি কোনো কিছুই তেমন কাজে আসেনি। বরং সংঘবদ্ধ বাজার সিন্ডিকেট সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমদানি নির্ভর কোনো কোনো পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। যার প্রভাব দেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর পড়ায় বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

তবে বাজার পর্যবেক্ষকরা অনেকে এজন্য অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের চেয়ে ভোক্তাদের বেশি দায়ী করেছেন। তাদের ভাষ্য, রমজান শুরুর সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই অধিকাংশ মানুষ ছোলা, চিনিসহ ইফতারিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীও একসঙ্গে অধিক পরিমাণে কিনতে শুরু করেছে। এতে এসব পণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এক লাফে দুই-তিনগুণ কিংবা তার চেয়ে আরও বেশি বেড়েছে। সে তুলনায় সরবরাহ না বাড়ায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তারা একসঙ্গে এক মাসের বাজার না করে ৪/৫ দিন কিংবা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের বাজার করলে এ সংকট তৈরি হতো না।

তাদের এ অনুমান যে অমূলক নয়, তা সোমবার কারওয়ানবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, হাতিরপুলসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সপ্তাহিক ছুটির দিন না হলেও প্রতিটি বাজারে কিছু ক্রেতাদের অস্বাভাবিক ভিড়। বেশির ভাগ ক্রেতাকে মাছ-মাংস, চাল-ডাল, তেল-পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্য একসঙ্গে এক মাসের কিনতে দেখা গেছে। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে যেসব ক্রেতা সবচেয়ে কম জিনিসপত্র কিনছেন, তা দিয়ে ৪/৫ জন সদস্যের পরিবারের অন্তত দু’সপ্তাহ চলবে।

মালিবাগ বাজারে মুদি দোকানি আফজাল হোসেন জানান, স্বাভাবিক সময়ে তার দোকানে এক সপ্তাহে যে পরিমাণ মাল বিক্রি হয়, রোববার সকাল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত তার চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে। ফলে নতুন করে মাল কিনতে তাকে আবার পাইকারি মার্কেটে ছুঁটতে হয়েছে। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা আকস্মিক কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে পাইকারি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে শুধু এ ইস্যুতেই বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে, এমন অভিযোগ মেনে নিতে চাননি অর্থনীতিবিদদের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, প্রতিবছর রমজানের আগে ইফতারিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়াটা খুবই গতানুগতিক। এ হিসাব বিবেচনায় রেখেই সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সে ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষতা দেখাতে পারেনি। যার সুযোগ নিয়ে বাজার সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশ্লেষক এ এম এম শওকত আলী বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের যে তথ্য-উপাত্ত জরুরি তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে নেই। যে কারণে বাজার তদারকির সুফল মিলছে না। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের দায়িত্ব কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এই বিশ্লেষকের ভাষ্য, বিদেশি সংস্থা ও দেশের বেসরকারি কোনো সংস্থার সমন্বয়ে বাজার সমীক্ষা করার ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন সুফল দিতে পারে। এ সমীক্ষার ভিত্তিতে বাজারের চরিত্র, পণ্য সরবরাহের ধরন, বাজারের চাহিদা, বাজারে রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি বিষয় তুলে আনা জরুরি। এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে টেকসই পরিকল্পনা সাজানো উচিত। সদ্য বিগত সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল অনেকেই সিন্ডিকেটের কারসাজির কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা কেউই কারসাজি বন্ধ তো করতে পারেনই নি, কখনো কখনো সিন্ডিকেট নিয়ে এমন কথাও বলেছেন যা শুনে মনে হয়েছে সিন্ডিকেটের হোতাদের কাছে তাদের যেন অসহায় আত্মসমর্পণ। এ ক্ষেত্রে বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা একটি বড় কারণ অবশ্যই। আবার সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টিও এড়ানোর নয়। দেশের বাজারব্যবস্থায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা যেসব প্রতিবন্ধকতার কথা বারবার তুলে ধরছেন এর থেকেও বড় প্রতিবন্ধকতা বাজারে রাজনৈতিক প্রভাবে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার বিষয়টি। যার প্রতিফলন বরাবরই বাজারে ঘটছে।

সোমবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই চিনি, খেজুর, সয়াবিন তেল, ছোলাসহ ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদের ডালের চাহিদা বেড়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই এসব পণ্যের দামই চড়া। এর মধ্যে চিনি ও তেলের দাম এক বছরের বেশি সময় ধরে বাড়তি। তার সঙ্গে রোজাকে সামনে রেখে এবার খেজুর, ছোলা ও ডালও চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ, বেগুন, শসা ও লেবুর দামও উচ্চ লাফে বেড়েছে। বিদেশি ফলের দাম নাগালের মধ্যে নেই।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরের মধ্যে এবারই রোজার বাজারে চিনি, খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজ ও অ্যাংকর ডালের দাম সবচেয়ে বেশি। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে রোজার আগে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। এ বছর চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তাতে এক বছরে চিনিতে খরচ বেড়েছে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা।

গত রমজানে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় এক ডজন বড় লেবু পাওয়া গেলেও এবার রোজা শুরুর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার বাজারে মাঝারি সাইজের এক ডজন লেবু বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। বড় সাইজের এক ডজন লেবু দেড়শ’ টাকার নিচে কোথাও দেখা যায়নি। এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ভালো মানের বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও সোমবার তা এক লাফে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অথচ রাজধানীর প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেগুনের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক।

মাছ-মাংস ও মুরগির সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সোমবার বাজারে এসব বিক্রি হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কেজিতে ২৫ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে। সব ধরনের সবজির দামও ছিল বেশ চড়া।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের গরুর মাংসের বিক্রেতা জালাল মিয়া জানান, হাড্ডি ছাড়া গরুর মাংস ১ হাজার টাকা কেজি, হাড্ডিসহ ৭৫০ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়বে। তার ভাষ্য, সাধারণ সময় এক বা দু’টি গরুর মাংস বিক্রি করলেও দু’দিন ধরে ৪/৫টি গরু জবাই করেও ক্রেতাদের সামাল দিতে পারছেন না। যেসব ক্রেতা ২/৩ কেজি মাংস কিনতেন, তারা ৫/৬ কেজি, কিংবা তারও বেশি মাংস কিনছেন বলে জানান এই মাংস বিক্রেতা।

এদিকে গত বছর যে খেজুরের কার্টন (৫ কেজি) ২ হাজার ৮০০ টাকা ছিল, এবার তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজারে। ৫ হাজার টাকার খেজুরের কার্টন সাড়ে ৭ হাজার টাকায়ও মিলছে না। তুলনামূলক কম দামের কারণে সাধারণ মানুষের পছন্দের তালিকায় ছিল বরই, জাহিদি ও দাবাস জাতের খেজুর। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর এসব খেজুরের দামও ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতার বালাই নেই, তারা সব সময় সুযোগ খোঁজেন। আর রোজা তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সময় বলে থাকেন, চাহিদা ও জোগান ঠিক থাকলে দাম বাড়বে না। কিন্তু শসা, পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগি এসব তো দেশীয় পণ্য। এরপরও অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি দাঁড় করালেও এর সত্যতা পাওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যের দাম নাগালে রাখতে বাজারে তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি দোকানে ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ রাখা ও মূল্যতালিকা ঝোলানো নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু তা নিয়মমাফিক কখনো করা যায়নি।

এদিকে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সংকটের মূল জায়গায় হাত না দিয়ে গ্রেপ্তার ও জেলের ভয় দেখিয়ে রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে আরও ‘হযবরল’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ভাষ্য, করপোরেট ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টন মজুত পণ্যের দিকে নজর না দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের গুদামে হানা দিয়ে যে কৌশলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে এতে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে।

এদিকে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে না আসার পেছনে টাকার অবনমন, বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতা না থাকা এবং চাহিদা, উৎপাদন ও প্রয়োজন কত তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকা- এই তিনটি কারণ মুখ্য বলে উল্লেখ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তার ভাষ্য, দুর্বল তদারকি ব্যবস্থায় বাজার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী মূল হোতাদের চিহ্নিত করা অসম্ভব। ফলে রাঘব বোয়ালরা অধরাই থেকে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টার্গেট ব্যর্থ হবে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস’র নাজনীন আহমেদ বলেন, গুরুত্ব না থাকায় মনিটরিং ব্যবস্থা কোনো কাজে আসছে না। মনিটরিং ব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুব দুর্বল অবস্থায় চলে। যেমন, ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজারে নিয়মিত দাম মনিটর হওয়ার কথা। এক দিনের থেকে আরেকদিন দাম অস্বাভাবিক হলেই সরকারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে