রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ ও ২০১০-১১ সালে দেশের পুঁজিবাজারে দুবার ধসের ঘটনায় প্রতারণার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। তদন্তে প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তির জড়িত থাকার তথ্য উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ‘জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ক্রমেই কমছে। চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারের মাধ্যমে নতুন কোনো পুঁজির জোগান আসেনি। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর অধিকাংশই সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সামনে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কী থাকছে সেটি আমরা দেখতে চাই।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়ে পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোতে পরিণত করা হয়েছিল। পুঁজিবাজারের অবস্থা দেখে মনে হয় এটি যেন দেশের অর্থনীতির বাইরের কোনো বিষয়। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের সংযোগ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে বিনিয়োগ প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বিনিয়োগ আসতে হবে পুঁজিবাজার থেকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় দেশের আর্থিক খাত ও পুঁজিবাজারে কোনো দুর্যোগ আসেনি। আমার প্রস্তাব থাকবে বন্ধ কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্বতন্ত্র প্লাটফর্ম থাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে কেউ চাইলে এসব কোম্পানি কিনে নিতে পারে। জনগণের সমর্থনে আগামী দিনে আমরা ক্ষমতায় গেলে পুঁজিবাজারকে ধারণ করব। সংস্কারের ক্ষেত্রে যেসব ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করব।’
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুশতাক হুসেন খান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ড. এম মাসরুর রিয়াজ, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ড. তাজনুভা জাবীন, বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসেন প্রমুখ।