রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
২০২৪-২৫ মৌসুম

দেশে লবণ উৎপাদন ২২.৫৫ লাখ টন

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৫ মে ২০২৫, ১৯:১৪
দেশে লবণ উৎপাদন ২২.৫৫ লাখ টন
ছবি: সংগৃহীত

দেশে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শেষ হয়েছে গত ১৭ মে। চলতি বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন। ১৭ মে পর্যন্ত ২২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫১ টন লবণ উৎপাদন হয়। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় উৎপাদন কম হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৯ টন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে উৎপাদন কম হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। চাহিদা কম থাকায় দেশে লবণের দামও নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন তারা। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর নির্ধারিত মৌসুমের তুলনায় কয়েক সপ্তাহ বাড়তি উৎপাদনের সুযোগ থাকে। তবে এবার বিরূপ আবহাওয়ায় মাঠ গুটিয়ে নিয়েছেন চাষীরা। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

1

বিসিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমার ফলে লবণের চাহিদা কমেছে। পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়েও লবণের বাড়তি চাহিদা নেই। এ কারণে ঘাটতি থাকলেও লবণের বাজারে সরবরাহ সংকট হবে না। এছাড়া বিগত মৌসুমের উৎপাদিত লবণের কয়েক লাখ টন মজুদ থাকায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

কৃষকদের অভিযোগ, দেশে উৎপাদন স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত হলেও বিদেশ থেকে কমদামে ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট আমদানি করে তা ভোজ্যলবণ হিসেবে বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি লবণ উৎপাদন করে কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন না লবণ চাষীরা। এতে সামনের দিনগুলোয় উৎপাদন কমে যাওয়ার জোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি দুই মণ (৮৮ কেজি) লবণের দাম ছিল ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৮০০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম ছিল মণপ্রতি ৩২০-৩৩০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ২৮০-৩০০ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। জানা গেছে, লবণের ন্যায্য নাম না পাওয়ায় চাষীরা লবণ উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন না।

লবণ শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান ও বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, ‘‌এ বছর ১৭ মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদন করেছেন চাষীরা। দেশে লবণের চাহিদা (শিল্প খাতে) কম থাকায় চাহিদা কমে গেছে। তাছাড়া পূর্ববর্তী মৌসুমের লবণের মজুদ পর্যাপ্ত থাকায় চাহিদার চেয়েও বেশি লবণ রয়েছে। যার কারণে এখনো বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।’

বিসিকের তথ্যানুযায়ী, বিগত মৌসুমে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হলেও এ বছর তা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৯৮ একরে পৌঁছেছে। এ বছর লবণচাষীর সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৩৫৫।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে