শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘অনেকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ের প্রয়োজন নেই। কিন্তু না, আমাদের র্যাংকিং নিয়ে ভাবতে হবে। এদিকে নজর দিতে হবে।’
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার আছে। আমরা কোন জায়গায় পিছিয়ে আছি, অন্যান্য দেশের সাথে রিসার্চ কোলাবোরেশন, প্রকাশনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ আছে কি না? এগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। এসব দিকে মনোযোগী হলেই আমাদের বিশ^বিদ্যালয়গুলো সামনের সারিতে থাকবে।
বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির জটিলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছি। একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না ইত্যাদি। শিক্ষার ব্যাপকতা হচ্ছে জীবনব্যাপী। যেকোন বয়সের যেকোন মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেই ভর্তি হতে আসবে। সেখানে বয়স কুড়ি বা পঞ্চাশ সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়, সবাইকে শিক্ষার সুযোগ দেয়া উচিৎ। ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে দিতে হবে।
গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা পাশ্চাত্যের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাদের মেধাবীরা সেসব দেশে পড়তে ও গবেষণা করতে যায়। সেসব দেশে একটা মাত্র পরীক্ষা দিয়ে যেকোন বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়। তাহলে আমাদের দেশে কেন সেটা বাস্তবায়ন করা যাবে না? স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও উচিৎ গুচ্ছ পদ্ধতিতে এগিয়ে আসা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মো: নূরুল আলম বলেন, শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি উৎসাহী হতে হবে। গবেষণাপত্র ভালো জার্নালে প্রকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকবে।
যাযাদি/সোহেল