রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই আন্দোলনে আহত  ইয়ামিনের কপালে জুটেনি চিকিৎসা ও সহযোগিতা 

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
  ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১:২৬
জুলাই আন্দোলনে আহত  ইয়ামিনের কপালে জুটেনি চিকিৎসা ও সহযোগিতা 
ছবি : যায়যায়দিন

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল গ্রামের ১৪ বছরের ইয়ামিন।বাবার মৃত্যুর পর গাজীপুরে গিয়ে একটা হোটেলে চাকরি নেন।হোটেল থেকে পাওয়া রোজগারের টাকা দিয়েই চলত তার পরিবার।গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয় ইয়ামিন।

একসময় ১৬-১৮ টি রাবার বুলেট গিয়ে বিঁধে ইয়ামিনের সারা শরীরে। গুরুতর আহত ইয়ামিনকে গাজীপুরের মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরলেও এখনও শরীরে রয়ে গেছে ১২-১৪ টি রাবার বুলেট। বর্তমানে প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে থমকে আছে তার চিকিৎসা।

জানা গেছে, শুরুর দিকে কিছুদিন চিকিৎসা নিলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি ইয়ামিন। অর্থ সংকটের কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারিভাবে তেমন কোনো অনুদানও পাননি তিনি। জুলাই আন্দোলনের আহতদের তালিকায় নামও উঠেনি তার।কোন রকম সহযোগিতাও জুটেনি। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে নিদারুণ দুর্দশায় পড়েছেন তিনি।

ইয়ামিন জানান গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনের শুরু থেকেই আমি মাঠে ছিলাম ছাত্র জনতার সাথে ।৫ আগস্ট যখন মার্চ টু ঢাকার ডাক দেওয়া হয় তখন সবার সাথে আমিও আন্দোলনে যোগ দেই। ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকলে তার দুই হাত,বুক, পিট সহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় থাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা।কিন্তু অর্থাভাবে বেশিদিন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

ইয়ামিন আরো জানান, সরকারের কাছে তার আবেদন, যেন থাকে জুলাই আন্দোলনের আহতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় যাতে তিনি আগের মত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরিবারের হাল ধরতে পারেন।

ইয়ামিনের মা জানান আমার ছেলে জীবন বাজি রেখে ছাত্রজনতার আন্দোলনে গিয়েছে।আহতও হয়েছে।ছেলেটারে চিকিৎসা করাতে পারিনি।আমরা গরীব মানুষ এত কিছু বুঝিনা।আমার ছেলেটারে যেন জুলাই আন্দোলনের আহতদের তালিকায় নাম দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান জানান, ইয়ামিন নামের কোন জুলাই আন্দোলনের আহত আছেন এটা আমার জানা ছিল না।সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে