শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো ১৫ই আগস্ট : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ঢাবি প্রতিনিধি
  ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৪
বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো ১৫ই আগস্ট : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো ১৫ই আগস্ট : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার চেষ্টাকে পুরো বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা বলে অবিহিত করেছেন।

তিনি বলেন,পাকিস্তান থেকে গোলা বারুদ কিনে আনা হয়েছিলো এবং পুরো বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টায় তারা সফলও হয়েছিলো।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত 'শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয় স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় প্রত্যয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশের রুপকার, কোনো দেশের প্রতিষ্ঠাতাকে সপরিবারে হত্যার নজির আমি আর দেখিনি।শোককে শক্তিতে রূপান্তর করেছিলেন সবার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে সেই শক্তির ভিত্তিতেই বাংলাদেশকে নবরূপ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এসময় তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, যে গতিতে আমরা এগিয়ে চলছি বঙ্গবন্ধু কন্যার কিছু হয়ে গেলে সেখান থেকে ঘুরে দাড়ানোর শক্তি আমাদের আছে কি না সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আওয়ামীলীগের সদস্য তারানা হালিম বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন তিনি একাধারে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী হতেন এবং কর্নেল তাহের হত্যার জন্য দায়ী হতেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন তার সম্পৃক্ততা। আর সংবিধানকে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংশোধন করাই তার বড় প্রমাণ।

এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা, তাদের চেতনা সাম্প্রদায়িকতা। তাদের চেতনা পাকিস্তানের চেতনা। এজন্য আমরা পাকিস্তানিদেরকে বলি হানাদার বাহিনী, সমর্থকদেরকে দেশ বিরোধী রাজাকার বলি আর তারা বলে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী। তাদেরকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলতে শোনা যায় না।

এসময় তিনি বলেন বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছিলো তখন তারা গরু চুরি করে সেই গরু জবাই করে, মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি লুট করে উদযাপন করেছিলো।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দমে যাননি। বঙ্গবন্ধু এদেশের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এক মুদি দোকানদারের স্ত্রী বলেছিলো আমার স্বামী মদ খায় জুয়া খেলে আমাকে লাঞ্চনা করে, বঙ্গবন্ধু কষ্ট পেয়ে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই যে ছোট ছোট সুন্দর কাজের জন্ম মানুষ বঙ্গবন্ধুকে মনে রাখবে সারা জীবন কিন্তু জিয়াউর রহমানের এমন কোনো স্মৃতি নেই।এসময় তিনি আবেগ প্রবন হয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারাইনি আমাদের চোখের জ্যোতিতে আছেন বঙ্গবন্ধু।

রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা বলেন, মুজিব কোনো মানুষ নয়, মুজিব একটি দর্শন। এই দর্শনের ফলেই তিনি আজও বাংলার মানুষের কাছে বেঁচে আছেন।

এসময় তিনি বলেন শেখ হাসিনা যে আজ নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল সেই ধারাটি শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

উল্লেখ্য, রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে