শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে টানা দ্বিতীয় দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শাটডাউন কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে চালু রয়েছে জরুরি সেবা।
এদিকে আগামীকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভায় যথাযথ সিদ্ধান্ত না আসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউনের ঘোষণাও আসতে পারে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
শাট ডাউন কর্মসূচিতে অ্যাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি নেই ক্যাম্পাসে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটও। সীমিত পরিসরে চলছে দাপ্তরিক কার্যক্রম।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আগামীকালের সভা পর্যন্ত শাট ডাউন চলবে। যদি কালকের সভায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহীনিকে হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর এবং অস্থায়ী আবাসনের ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত না হয় তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাট ডাউনের ঘোষণা হতে পারে।
এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে তিন দফা দাবিতে আমরণ গণঅনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে স্যালাইন দিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সোমবার অনশনরত অবস্থায় সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এদিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের সভার নোটিশ পেয়ে অনশন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে,
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যত দিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
যাযাদি/ এম