মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

চবিতে ফাইনেন্স বিভাগের এমবিএ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ অনুষ্ঠিত 

চবি প্রতিনিধি
  ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫২
চবিতে ফাইনেন্স বিভাগের এমবিএ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ অনুষ্ঠিত 
ছবি: যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফাইনেন্স বিভাগের ২৬তম ব্যাচের উদ্যোগে এমবিএ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ অডিটোরিয়াম এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ফাইনেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নেসারুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম নসরুল কদির এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এসএম নসরুল কাদীর বলেন, আপনারা শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন এখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন।ফাইনেন্স বিভাগ বিবিএ অনুষদের মধ্যে অন্যতম একটি বিভাগ আর আপনারা সেই বিভাগের শিক্ষার্থী। আপনারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্ব দিবেন। আমি আশা করি আপনারা আগামীর বাংলাদেশ।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা চ্যালেন্স নিয়েছি ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করার চেষ্টা করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আমরা আশা করি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে যেকোন সময়ে আপনারা পাশে থাকবেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার জন্য সবচেয়ে বেশি ঋণী ফাইনেন্স বিভাগের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অধিকাংশ শিক্ষক এই ফাইনেন্স বিভাগের। ফাইনেন্স বিভাগ দেশের সরকারি এবং প্রাইভেট সেক্টরে অতুলনীয় অবদান রেখে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী তৈরি করে না এখানে জ্ঞান সৃষ্টি করে এবং গ্রাজুয়েট তৈরি করে। তোমরা ব্যক্তিগত জীবনে এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাবে।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, দেশের তরে প্রতিটি জায়গায় তোমরা মেধার স্বাক্ষর রাখবে এবং সর্বদা আমাদের মনে রাখবে। তোমরা নিজেদের ক্যারিয়ারকে সমুন্নত রাখবে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যেখানেই গিয়েছে তারা অনন্য ভূমিকা রেখেছে। গতবছর প্রচুর পরিমানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে।এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এদেশের জন্য প্রয়োজন ছিল না। যার যেদিকে স্কিল আছে সেদিকেই তোমরা ফোকাস করবে। বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা হলো নৈতিক সমস্যা। তোমরা এমন কিছু করবে না যার কারণে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বিভাগের সম্মানহানি হয়। দীর্ঘদিন আমাদের সাথে তোমরা ছিলে আমাদের কোন ভুলত্রুটি হলে তোমরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, আমাদের প্রশাসন চেষ্টা করছে বিশ্বের কর্পোরেট সেক্টরের সাথে সমঝোতা তৈরি করতে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করতে। ছয় মাস আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় মরুভূমির মতো ছিল, সেই জায়গা থেকে আমরা পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। যে হলগুলোতে দখলদারিত্ব ছিল আমরা সেই দখলদারিত্ব কে জাদুঘরে পাঠায় দিয়েছি। বর্তমানে হলে টেন্ডাররবাজি ফাও খাওয়া নেই। প্রতিবার ভর্তি পরীক্ষার সময় একদল ঝামেলা তৈরি করেছিল কিভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে টাকা খাওয়া যায়। আমরা সেই পরিবেশ থেকে বেড়িয়ে এসেছি। আপনারা চাকরি না পেলে হতাশ হবেন না, আপনাদের জন্য সারা পৃথিবী খোলা রয়েছে। ভাইভার নাটক করে লেনদেনের মাধ্যমে আর শিক্ষক হওয়া যাবে না। আপনারা যারা এমবিএ পাশ করেছেন আপনাদের অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে