মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে:প্রেস সচিব 

ইবি প্রতিনিধি
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৫
জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে:প্রেস সচিব 
ছবি: যায়যায়দিন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাষ্ট্র সংস্কার। আর আমরা তা যথাযথভাবে করছি। তবে আমরা দেখছি যে এমন এমন কাজ হচ্ছে যার কারণে মানুষ ভাবছে আমাদের বিপ্লবটা ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে না বরং জুলাই বিপ্লবের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে হয়েছে তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন আপনারা খুব শর্টটার্মে দেখছেন এজন্য অনেকে চিন্তাশীল হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তাদেরকে বলবো পূর্বের ইন্টেরিম সরকার ও অন্যান্য সময়কালের সাথে তুলনা করে দেখেন আমরা অভূতপূর্ব কাজ করেছি কিনা। একটা ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মাত্র ৫ মাসে এই সরকার স্থিতিশীলতায় নিয়ে এসেছে। অপরাধ প্রবণতা, রাজনৈতিক সহিংসতা কমে আসছে। কয়েকটা জায়গায় যদিও ব্যতয় ঘটছে কিন্তু তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার খুনীদের খুঁজে খুঁজে দেশে এনেছে আমরাও সেভাবে আন্দোলনের খুনীদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করবো। আইনী প্রক্রিয়ায় আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে, জন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধভাগ ছাত্রী পড়াশোনা করে, যা খুবই ভালো ইমেজ। ডকুমেন্টারিতে দেখলাম আন্দোলনে মেয়েরা নেতৃত্ব দিয়েছে। আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করেছেন। এই ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে। ইমেজের সাথে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। এখনও যেসব হলগুলোর নাম স্বৈরাচারের নামে রয়ে গেছে সেগুলো শহিদদের নামে পরিবর্তন করা দরকার।

প্রেস সচিব বলেন, দেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ করার বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে কমিশনের মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের ফসল কমিশনের রিপোর্ট। আপনারা এগুলো পড়ুন ও ক্যাম্পাসে এসব নিয়ে বিতর্ক করুন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। এছাড়াও আলোচক ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা এস এম রাশিদুল ইসলাম।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজা উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সহ-সম্পাদক এমদাদুল হক, বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার ও সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ইমামুল হাছান আদনান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান নবীন ও সাবেক সভাপতি ইমরান শুভ্র। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে