সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগে ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

ববি প্রতিনিধি
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৩
ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগে ববি উপাচার্যের বাসভবনে তালা
ছবি: যায়যায়দিন

আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গোপন সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ে তালা দিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলে তারা।

বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে গিয়ে ফ্যাসিস্টদের পূনর্বাসনের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেয় এবং উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেয়। পরবর্তীতে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে বিক্ষোভ শেষ হয়।

এসময় তারা উপাচার্যের সুবিধার জন্য মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রাখা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগদের আগাম জামিন পাওয়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে দু'জন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের নাটক মঞ্চস্থ করা, আইন ও সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার কুচক্রী পায়তারা চালানো। গত ছয় মাসেও ২২ দফার কোনরকম প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হওয়া, ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহন করতে ব্যর্থ হওয়া হওয়া সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ তোলে তারা।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৪৯ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নিয়মবহির্ভূতভাবে দুই সিন্ডিকেট সদস্যকে তাদের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাদ দেওয়া হয়। এদিকে শিক্ষকদের পাঁচটি প্রতিনিধিত্বশীল পদ শূন্য রেখে শুক্রবার সিন্ডিকেট সভার আহবান জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। ৩০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সাথে মতবিনিময় সভায় বসেন এবং পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন সন্ধ্যায় উপাচার্যের পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির পক্ষে ও বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। ১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু দুই পক্ষের হাতাহাতির কারণে আলোচনা অসমাপ্ত থাকে। শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদে মোট ২২ দফা দাবি দিয়ে সময় দেন।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে