ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকায় অবস্থানকারীদের চিহ্নিত করতে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে দুর্নীতি তদন্ত কমিটিকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে এবং জুলাই বিপ্লব বিরোধী ভূমিকায় তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্টপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খানকে আহবায়ক এবং শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদারকে সদস্য-সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
এদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদারকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের অপর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম।
এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ‘চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আর অনিয়মের তথ্য জমা দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ করা হয়েছে। যদি দুর্নীতির কোনো তথ্য দেওয়ার থাকে তার জন্য অনলাইন ও অফলাইনে জমা দেওয়ার আহ্বান থাকবে। এ বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য।’
যাযাদি/ এম