শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ মার্চের উদ্ভূত পরিস্থিতির নানাবিধ বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা করেন। শিক্ষক সমিতি সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ভূমিকা রেখে আসছে। শিক্ষক সমিতির অনেক অতীত উদাহারণ রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় কাজ করেছে। যেমনঃ শিক্ষক সমিতি ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের টাকা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেয়, সেই অনুযায়ী সিণ্ডিকেটে অনুমোদিত হয়।
বর্তমানে শিক্ষক সমিতি ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের টাকা ত্রিশ(৩০) হাজার টাকা থেকে বর্ধিত করে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব প্রশাসনের নিকট প্রেরণ করেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সুপারিশ করেন। আরও অনেক শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিক্ষক সমিতির সেবামূলক কাজ রয়েছে। শিক্ষকতার মতো এমন সেবামূলক পেশাতে থেকে শিক্ষক কখনও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে ওপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই সম্পর্ক কেবল মাত্র জ্ঞান আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়! এরচেয়েও বেশিকিছু।
শিক্ষার্থীদের জন্যই আমরা আজ শিক্ষক। আবার শিক্ষার্থীদেরও অভিভাবক সমতুল্য শিক্ষকদের সহিত যথাযথ আচরণ করা উচিত। ১২ মার্চের আন্দোলনে কতিপয় শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রতিবাদের নামে যে শব্দচয়ন করেছে, তা খুবই দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। যা আমাদেরকে আহত করেছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এহেন আচরণ করেনি,কতিপয় শিক্ষার্থীদের কারণে সকল শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক এটা প্রত্যশা করে না শিক্ষক সমিতি।
২০২৫ সালের ১২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তা কোনভাবেই শিক্ষক সমিতি সমর্থন করে না। ইফতার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধাক্ষ্য,বিদ্রোহী হলের হল প্রভোস্ট, এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে ঐদিন যে অসদাচরণ হয়েছে,তার জন্য শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় প্রতিবাদ জানানো হয়। সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের থেকে যেকোন অসদাচরণ দেখাতেও চাই না আমরা। এছাড়াও উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মূল রহস্য উৎঘাটন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট প্রস্তাব প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক দাবির সাথে শিক্ষক সমিতি সহমত পোষণ করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের অনার্স শেষবর্ষ এবং মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ বা ফলাফল প্রকাশের পর আরও এক মাস পর্যন্ত হলে যেন থাকতে পারে সেই বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি দাবী উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যাযাদি/এস