পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।
ওএসডি হওয়া চিকিৎসক হলেন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. এ. এস. এম. শামীম আল আজাদ। ১৬ এপ্রিল (বুধবার) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এ বিষয়ে ডা. শামীম আল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “একটি তদন্তাধীন বিষয়ের মাঝপথে এ ধরনের সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব তথ্য আমি তদন্ত কমিটির কাছে দিয়েছি। কমিটি সবার বক্তব্য গ্রহণ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে—তাদের চূড়ান্ত মত দেওয়ার আগেই এমন সিদ্ধান্ত আশা করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “এটি আমাকে থামানোর একটি কৌশল বলেই মনে হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ফোনে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি এবং যত দ্রুত সম্ভব নিজে উপস্থিত হয়েছি।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামীম আল আজাদকে ওএসডি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সময় চাওয়ায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত তিন কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর যদি কারো দায় প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আশিক (১৯) বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জনতা কলেজের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যান। পরে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যাযাদি/ এমএস