খাগড়াছড়িতে অপহরনের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্বার হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। এনিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এদিকে তাদেরকে উদ্বারে অভিযান চালাচ্ছেন যৌথবাহিনী
আজ সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের (পূর্ণকারবারি পাড়া) এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত আস্তানা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৩ জোড়া পোশাক ও ১৯ টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, পিস্তলের গুলি, ০১টি ল্যাপটপ, কয়েকটি ওয়াকি-টকি সেট, ০২টি মোবাইল ফোন, ০১ টি মাইক্রোফোন, ০১টি ক্যামেরা, ০১টি প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাবু, নেট, জিম্মি ধরে রাখার লোহার চেইন, ক্যাপ, খাবারের তৈসজপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, প্রোপাগান্ডা সামগ্রী, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।
পূর্ণকারবারি পাড়ার কারবারি জানায় এটি ইউপিডিএফ এর সমন্বয়ক অংগ্য মারমার একটি অস্থায়ী গোপন আস্তানা। এটি অন্যান্য সাধারণ ঘরের মতোই দেখতে।
তালা বন্ধ দেখে সেনাবাহিনীর সন্দেহ হলে পাড়ার লোকজনের সাহায্যে তালা ভেংগে ঘর তল্লাশি করে উল্লেখিত দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। অপহরণকৃত কাউকে না পাওয়া গেলেও নিরাপত্তা বাহিনী জানায় যে, অপহরণকৃতদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতি ইঞ্চি জমি তল্লাশী করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ খাগড়াছড়ির (গিরিফুল) এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা,লংঙী ম্রো, এরং অলড্রিন ত্রিপুরা ইউপিডিএফ (মূল) কর্তৃক অপহৃত হয় যদিও তারা তা অস্বীকার করে আসছে। যৌথ বাহিনীর একটি সুত্র জানিয়েছে, পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি প্রদানকারী সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে।