ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে সিএনজি চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মো জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে। তিনি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরের শিকার সিএনজি চালকের নাম আব্দুল করিম (২৫)। তার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুলে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো মোখলেসুর রহমান।
ড্রাইভার আব্দুল করিম বলেন, আমাকে পাঠানটুলা থেকে নিয়ে আসেন জহির সহ তিনজন। ভার্সিটি গেইটে এসে আমাকে ২০টাকা দিয়ে ৫ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। তখন আমি বলেছি, পাঠানটুলা থেকে এখানে ১০টাকা করে ভাড়া। আপনারা আমাকে ৩০টাকা দেওয়ার কথা কিন্তু ২০টাকা দিছেন আবার বলছেন ৫ টাকা ফেরত দিতে। আপনারা আশপাশের দুয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেই ভাড়া দিন। তখন তারা ৩০টাকা দিয়ে আবার ৫টাকা ফেরত দিতে বলে। আমি আবারও বলি যে এখানে তিনজনে ৩০টাকা ভাড়া। এসব নিয়ে কথা হয়। তখন জহির বলে তুমি কী আমাকে চেনো? আমি বললাম, না, আমি চিনি, তুমি যদি ছাত্র হয়ে থাকো, তাহলে তোমার কাছ থেকে কম ভাড়া নিতাম। তারপর তারা আমাকে কিল ঘুষি মারা শুরু করে। আমার মাথা ফেটে গেছে, অনেক জায়গায় ফুলে গেছে এবং আমার কানের পাশে রক্ত বের হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মো জহির উদ্দীন বলেন, আমি ও আমার বিভাগের সিনিয়র পাঠানটুলা থেকে ভার্সিটি গেটে আসি। আমাদের সাথে স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ছিল। সে ভার্সিটি গেটে নামার পর সিএনজি ড্রাইভারকে ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে ৫ টাকা ফেরত চাইলে ড্রাইভার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমি ও আমার সিনিয়র ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রতিবাদ করলে ড্রাইভার আমার দিকে মারমুখী হয়। পরবর্তীতে আমি সিএনজিকে আটক করি ও প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। মারধরের অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো মোখলেসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে মীমাংসা করে দিয়েছি। ভবিষ্যৎে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য সিএনজি চালক সমিতির নেতাদের ডেকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।