পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি (২০১৯-২০ সেশন) মারা গেছেন। জিমির বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামে।
এদিকে তার সহপাঠীদের অভিযোগ, ক্যান্সারের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগীতার জন্য তিনবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের দপ্তরে আবেদন করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোক বার্তা, দোয়া মাহফিল ও তোবারকের আয়োজন করা হলে তা লোক দেখানো আচরণ বলে প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা৷
শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবার আর্থিক সহযোগীতার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার পর উপাচার্যের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে আবেদন হারিয়ে গেছে, আবার জমা দিতে হবে। সর্বশেষ ১৫ দিন আগেও আবেদন দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। এখন আর উত্তরের দরকার নেই, জিমি মারা গেছে।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে জিমিকে সাহায্য করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলাম, কিন্তু সেখান থেকে কোনো সাড়া পাইনি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শহিদুল ইসলাম শাহেদ সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জিমি আপু আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কতটা অভিভাবকহীন ও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। পাঁচ মাসেও একটি আবেদনপত্র খুলে দেখার সময় হয়নি ভিসির!
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।