পাকস্থলীর ক্যান্সারে মারা যাওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমির (২০১৯-২০ সেশন) চিকিৎসা সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী করে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে ২৪ ঘণ্টার আল্টমেটাম দিয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-
০২. উপাচার্যের কর্মদিবসগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে—অনুপস্থিত থাকলে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
০৩. আর্থিক সহায়তা বিষয়ক আবেদন ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—গৃহীত হলে কিংবা বাতিল হলে তা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং এই কাজের জন্য একজন নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
০৪. আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে—নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওয়েবসাইটে এর হিসাব প্রকাশ করতে হবে।
০৫. শিক্ষার্থীরা যাতে উপাচার্যের সাথে কোনো জরুরি বিষয় দেখা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় তারা উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেন এবং জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উল্লেখিত ৫টি দাবি উপেক্ষিত হলে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সকল যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃস্পতিবার (১ মে) পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিমি। চিকিৎসায় ছাত্র কল্যান তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য পাঁচমাসের মধ্যে তিনবার ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের দপ্তরে আবেদন করা হলেও তাতে কোনো প্রতিক্রিয়া না আসার অভিযোগ জানান জিমির সহপাঠীরা৷