শহীদ আবু সাঈদ হত্যার সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিপীড়ন মামলায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের একাংশ।
এ সময় মামলা নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না, সাঈদ -ওয়াসিম মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাইরে, আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম, দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সিয়াম মণ্ডল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মামলা করার আগে আমরা শুনেছি আওয়ামী লীগের অনেক দোসরকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
পরে আমরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করি এবং উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেই।
তারপরও ৭১ জনের লিস্ট থেকে অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পেছন থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারাও বাদ পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও বাদ পড়েছে।
আমরা চাই অবিলম্বে জড়িতদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷’এ সময় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আল ইমরান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলেছি মামলা নিয়ে তালবাহানা চলবে না।
জড়িত সবাইকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারপরেও প্রশাসন অনেকের নাম বাদ দিয়েছে।
পোমেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। কিন্তু যারা এদের মদদ দিয়েছে তাদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যার অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ কীভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
আমরা ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি, যদি জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’উল্লেখ্য, বুধবার (৭ মে) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রলীগ, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে হত্যা মামলা করেন।
যাযাদি/এল