শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তৃতীয় দিনের মতো কাকরাইলে চলছে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন 

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ মে ২০২৫, ১১:৫৮
আপডেট  : ১৬ মে ২০২৫, ১২:০২
তৃতীয় দিনের মতো কাকরাইলে চলছে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন 
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ের একপাশে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা: ছবি সংগৃহীত

টানা তৃতীয় দিনের মতো তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়াতেই বাড়ছে তাদের সংখ্যা। প্রতিদিনের মতো আজও বাসভর্তি করে এসে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন জবি শিক্ষার্থীরা।

1

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন রাজধানীর কাকরাইল এলাকা ঘুরে আন্দোলনের এমন চিত্র দেখা গেছে। পরে বেলা ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভর্তি করে এসে আন্দোলনে যোগ দেন শিক্ষার্থীরা।

দেখা যায়, বিগত দুই দিনের মতো আজও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় 'তুমি কে আমি কে, জবিয়ান জবিয়ান, 'বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, 'রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়' ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

আজ তারা কাকরাইল মোড়ের পাশে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার সড়কের কিছুটা মুখে অবস্থান নিয়েছেন তারা। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

শিক্ষার্থী রুবেল রানা বলেন, ‘আমরা আপাতত জনগণের ভোগান্তি এড়াতে একপাশে এসে অবস্থান নিয়েছি। তবে আমাদের আরও শিক্ষার্থী আসছে। এরপর কাকরাইল মোড় অবরোধ করা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে তিন দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিংয়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের সংঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।

সংঘর্ষের পর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি জবি শাটডাউনের ঘোষণা দেন।

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের ওপর পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাওয়া হবে না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে