সাসটেইনেবল রিসার্চ নিজেকে ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগে ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেক রিসার্চ করি এবং এক্ষেত্রে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।
কিন্তু এসব রিসার্চের কালেক্টিভ রেজাল্ট আমরা খুবই কম দেখতে পারি।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ইকনোমি’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ২ এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির।
রিসোর্স পার্সন ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি স্কুলের শিক্ষক প্রফেসর ড. শারমিন্দ নিলোৎপল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটি'র পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন আইআরটি'র সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মণ্ডল।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশে অনেক রিসার্চ হয়, এর পেছনে আমরা অনেক সময় ব্যয় করি, কিন্তু এর অ্যাক্রেডিটেশনে আমরা যেতে পারি না। কেননা এর কোন অ্যাক্রেডিটেশন নেই, অর্থাৎ এটা সাস্টেইনেবল না। যে রিসার্চ সাস্টেইনেবল হবে সেটি নিজেকে ও সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমার স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ নেই যে, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরে কৃষি সেক্টরে যে রিসার্চ ও ডেভলপমেন্ট হয়েছে, এটা অভাবনীয়, এবং এটা সারা পৃথিবীতে প্রশংসনীয়।
কর্মশালার গেস্ট অব অনার নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম বলেন, ‘সব মিলিয়ে হাবিপ্রবির পরিসর বেশ বড়, এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাদের সামনে জ্ঞানের কথা বলার কিছু নেই, আমরা হয়তো কিছু ধারণা শেয়ার করতে পারি।’ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বরোপ করে এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য হাবিপ্রবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
যাযাদি/এল