শেরপুরের নকলার গনপদ্দী ইউনিয়নের মেদিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে পুকুর খনন করে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহিমা বেগম ও সহকারি শিক্ষক শরুফা বেগমের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিকার চেয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেল শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কামরুল হাসান, আ: আজিজ ও রফিকুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৯৬ নং মেদিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ১৬ শতাংশ জায়গা উপর। বাকী জায়গাটুকু শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ছিল।
কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহিমা বেগম ও সহকারি শিক্ষক শরুফা বেগম নিজেদের স্বার্থে বিদ্যালয়ের জায়গা (শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ) দখল করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
যার কারনে একদিকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে মানসিক ও শারিরীক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে অনেক অভিভাবকগন বিদ্যালয় কাছাকাছি হওয়ায় প্রথমে এই বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি করলেও কিছুদিন পরে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে পড়াশুনা করাচ্ছেন।
অভিযোগকারী কামরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের নেই খেলার মাঠ, ঠিকমতন পড়ালেখা হয়না এবং বিদ্যালয়ের জমিও বেদখল করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক।
তাই ভিবিন্ন জায়গাতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা স্কুলের স্বার্থে এর প্রতিকার চাই। তবে একাধীকবার মুঠো ফোনে প্রধান শিক্ষক ফাহিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নকলা উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা পার্থ পাল বলেন, ‘আমি একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্তে যাই। বাস্তবে স্কুলের খেলার কোন মাঠ নেই এবং স্কুলের নির্ধারিত জায়গাটুকুও সঠিক পাওয়া যায়নি। আমার তন্তের রিপোর্টে সমস্ত কিছু উল্লেখ করা আছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়িধীন রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র বলেন, ‘মেদিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নেই এবং স্কুলের কিছু জমি বেদখল হয়ে গেছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’