আবেদনময়ী অভিনেত্রী মিম। অভিনেতা সিদ্দিকের সঙ্গে সংসার করতে পারেননি। কারণ তিনি অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন, অন্যদিকে সিদ্দিক চাইতেন তার স্ত্রী সংসারি হোক। কারণ সংসার, সন্তান, স্বামী ও অভিনয়ে একসঙ্গে চালাতে গেলে সংসারে অশান্তি হবে সে আশঙ্কা থেকেই সিদ্দিক এমন কথা বলেন তাকে। কিন্তু তিনি তা মানেননি। পরে সিদ্ধান্ত নেন আলাদা হবার। শেষ বিয়ে ভেঙে যায়। এখন তারা আদাল বসবাস করেন।
এ ছবির ক্যাপশনে মিম লিখেছেন— ‘সারা অঙ্গে জ্বলছে দেখো প্রেমের আগুন, নিবাতে গিয়ে কেন জ্বালাও দিগুন, কি দিয়ে বুঝাই মনের ভ্রমরটাকে, ও সে চায় তোমাকে, তুমি চাও আমাকে।’
এসব ছবি প্রকাশ্যে আসার পর মিমের রূপের প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। অনেকে আবার কটাক্ষ করে মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না। সাফির মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘আমাকে খুন করার জন্য এমন কয়েকটি ছবিই যথেষ্ট!’ রেদাউর রহমান লিখেছেন, ‘এই আগুনে জ্বলতে চাই।’ এমন অনেক মন্তব্য শোভা পাচ্ছে ছবির কমেন্ট বক্সে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মারিয়া মিম স্পেনের নাগরিক। বলা যায়, সিদ্দিককে ভালোবেসে বাংলাদেশে ফিরেন তিনি। ২০১২ সালে সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মারিয়া মিম। ২০১৩ সালে এই সংসার আলো করে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরশ হোসেন।
ভালোবেসে সিদ্দিককে বিয়ে করলেও ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডিভোর্স হয় তাদের। বিচ্ছেদের আবেদন মিমই করেছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, মিম শোবিজে কাজ করতে চান। কিন্তু সিদ্দিক গৃহিণী হিসেবেই চেয়েছেন। আর এজন্য ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন মিম। তবে আবেদনময়ী অভিনেত্রী মিমের দাবি— ‘সিদ্দিক তাকে মানসিক নির্যাতন করেছেন।’
২০১৮ সালে দেশের শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন মারিয়া মিম। একটি মোটরসাইকেলের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার মধ্য দিয়ে তার এই যাত্রা শুরু হয়। এরপর মিম স্যাভলন হ্যান্ডওয়াশ, ডিপ্লোমেটিক মিল্ক, ওয়ালটন, সিটি ব্যাংকসহ ত্রিশের অধিক বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন।
২০২১ সালে ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেও সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন মারিয়া মিম। একই বছরে ‘হ্যালো সোহানা’ শিরোনামে একটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেন তিনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ফারহান খান।
যাযাদি/ এস