রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

নবনীতার বেবি বাম্প

বিনোদন ডেস্ক
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯
নবনীতার বেবি বাম্প

ধারাবাহিক ‘বিয়ের ফুল’-এ অভিনয় করছেন নবনীতা দাস। ওই ধারাবাহিকের প্লট বলছে, এই মুহূর্তে অন্তঃসত্ত্বা নবনীতা ওরফে কলি। তবে বাস্তব জীবনে বিচ্ছেদ হলেও ধারাবাহিকে মা হওয়ার জার্নি বেশ উপভোগই করছেন অভিনেত্রী।

গত নভেম্বরেই জীতু কমলের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে নবনীতা দাসের। এরই মধ্যে সামনে এলো তার বেবি বাম্পের ছবি। এ নিয়ে আরও একবার আলোচনায় জীতুর সাবেক স্ত্রী নবনীতা দাস। বেবি বাম্প নিয়ে সাধ ভক্ষণের ছবি ভাইরাল নেটপাড়ায়। ডিভোর্সের পর নিজেকে এভাবে দেখেও কী কোনোভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী? এ সময় ডিজিটালকে কী বললেন নবনীতা?

২০২৩ সালে অভিনেতা জীতু কমলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। বিগত কয়েক মাস ধরেই তারা আলাদা থাকছেন। এর মধ্যেই নবনীতাকে ঘিরে অন্য খবরে শোরগোল শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী নাকি মা হতে চলেছেন। বছরের শুরুতেই সুখবর শোনালেন নায়িকা। এ কথা ছড়িয়ে পড়তেই ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের আলোচনাও শুরু হয়েছে।

তাহলে সত্য কী? নবনীতা কি সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা? খোঁজ নিয়ে জানা গেল অভিনেত্রী যে ‘মা’ হতে চলেছেন, তা সত্য। তবে সেটা বাস্তবে নয়। সবটাই ঘটছে ছোট পর্দায়।

এই মুহূর্তে ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালে কলি চরিত্রে অভিনয় করছেন নবনীতা। সেখানেই চরিত্রটি অন্তঃসত্ত্বা। এমনিতে নবনীতাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তার মধ্যে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। যদিও প্রোমো দেখার পর সবাই বুঝতে পেরেছেন সত্যটা কী। ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালের মাধ্যমে বহুদিন পর পর্দায় দেখা যাচ্ছে নবনীতা এবং রাজা গোস্বামীর জুটিকে। পুরনো জুটিকে পর্দায় দেখে দর্শকের একাংশও বেশ উত্তেজিত। এই মুহূর্তে গল্পে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কলিকে। কলির লড়াই যে দর্শকদের আগ্রহ বজায় রাখবে, তা নিয়ে নির্মাতারা আশাবাদী।

বাস্তব জীবনে নবনীতা শুধুই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে জীবন গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে মাঝেমধ্যেই পুরনো স্মৃতিতে ডুব দেন নায়িকা। তার সমাজমাধ্যমের পাতায় অনেক সময় দেখা যায় জীতুর সঙ্গে কাটানো ভালো মুহূর্তের ছবি।

নবনীতা বলেন, ‘আসলে কাজের জায়গায় আমি ব্যক্তিগত জীবনের সুখ-দুঃখটাকে একদম আলাদা রাখি। এখানে সবাই জানে আমি এসেই আগে খোঁজ নিই লাঞ্চ ব্রেক কখন। রেস্ট টাইম কখন পাব। এ ছাড়া পার্সনাল কোনো আবেগ অনুভূতি দেখানোর প্রশ্নই আসে না। কাজের জায়গায় ইমোশন দেখিয়েও তো কোনো লাভ নেই। আমি ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবন দুটোকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখি। বাড়িতেও আমি কখনো কাজের জগৎকে সঙ্গে করে নিয়ে যাই না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা, বেবি বাম্পের শুট করাটা খুবই কষ্টের। পেটের মধ্যে যেটা পরে থাকতে হয় খুবই অস্বস্তি হয়। একটা সিন করার পরই হয়তো সেটা খুলে অন্য একটা সিন করলাম। তাই ইমোশনাল হওয়ার জায়গাটাই থাকে না।’

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে