শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বোরোতে সময়মত সেচ না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা 

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৪:১১

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে সেচের অভাবে বোরো ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা হাওরবেষ্টিত। এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষের পেশা ধান চাষ।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার জেলায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও হাওরে সেচের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে বানিয়াচং উপজেলার কয়েকশ’ একর জমিতে রোপন করা ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে চারাগুলো লালচে হয়ে গেছে। অনেক জমিতে পানি না থাকায় মাটি নরম হচ্ছে না।

এ উপজেলার আদমখানী গ্রামের সবুজ মিয়া বলেন, “পানির খুবই অভাব। আমরা টিকতে পারবো না। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ।”

একই গ্রামের কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, “কৃষি কর্মকর্তা এসে আমাদের জমি দেখেন না। তারা যদি এসে দেখতেন হয়তো আমাদের জমি নষ্ট হতো না। এরই মধ্যে একাধিকবার আমাদের ফসল নষ্ট হয়েছে।”

কুতবখানী গ্রামের ছাবু মিয়া বলেন, “উপজেলার বলির হাওরে সেচের পানির অভাবে আমাদের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের সমস্যায় ঠিকমতো সেচ পাওয়া যায় না। নদী-নালা, খালও শুকিয়ে গেছে। তাই একেবারেই পানি পাওয়া যাচ্ছে না।”

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, “পানির অভাবে জমির মাটি নরম হচ্ছে না। তাই জমিতে ফলন কম হবে।”

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “বোরো ধানে সেচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তাই সব জমিতে যাতে সেচের পানি নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে জেলার বিভিন্ন হাওরে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে সেচের কিছু সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।”

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে