সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাটের চারকোল ও পাটপণ্য রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে

ইমরান ছিদ্দিকি
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

পাটের পরিবেশবান্ধব বহুমাত্রিক ব্যবহার বিশ্বে দিনের পর দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব মনোভাব নিয়ে সচেতন ভূমিকায় পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহার বাড়ছে। পাটের ব্যবহার হয়ে থাকে সুতা, পাকানো সুতা, বস্তা, চট, কারপেট ব্যাকিং ইত্যাদিতে। পর্দার কাপড়, কুশন কভার, কারপেট ইত্যাদি পাট থেকে তৈরি হয়। গরম কাপড় তৈরির জন্য উলের সঙ্গে পাটের মিশ্রণ করা হচ্ছে। কৃষি পণ্য এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি বস্তাবন্দি ও প্যাকিং করার জন্য ব্যাপকভাবে পাট ব্যবহার করা হয়। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী, ওষুধ, রং ইত্যাদি।

বাংলাদেশের পাট এখন পশ্চিমা বিশ্বের গাড়ি নির্মাণ, পেপার অ্যান্ড পাম্প, ইনসুলেশন শিল্পে, জিওটেক্সটাইল হেলথ কেয়ার, ফুটওয়্যার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিক্স, মেরিন ও স্পোর্টসশিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপের বিএমডাবিস্নউ, মার্সিটিজ বেঞ্চ, ওডি ফোর্ড, বিমানের বডি তৈরিতে, যুক্তরাষ্ট্রের জিএম মোটর, জাপানের টয়োটা, হোন্ডা কোম্পানিসহ নামিদামি সব গাড়ি কোম্পানিই তাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ডেশবোর্ড তৈরিতে ব্যবহার করছে পাট ও কেনাফ। বিএমডাবিস্নউসহ পাট দিয়ে তৈরি করছে পরিবেশ সম্মত 'গ্রিন কার' যার চাহিদা এখন ব্যাপক। পাট পণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান পণ্য পাটের বস্তা অনেক দেশে ধান সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় রাস্তার মাটি ক্ষয় রোধে, নদীভাঙন রোধে, হাতিরঝিল প্রকল্পে রাস্তা করার সময় রাস্তার পাড়ে সয়েল সেভার ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন পাটের তৈরি জিন্স (ডেনিম), পাটখড়ি থেকে উৎপাদিত ছাপাখানার বিশেষ কালি (চারকোল), পাট ও তুলার মিশ্রণে তৈরি বিশেষ সুতা (ভেসিকল), পাটের তৈরি বিশেষ সোনালি ব্যাগ ও পাটপাতা থেকে উৎপাদিত ভেষজ পানীয় প্রদর্শন করেছে। এ ছাড়া বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান পাট দিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্যাগ, খেলনা, শোপিস, ওয়ালম্যাট, নকশিকাঁথা, পাপোশ, জুতা, স্যান্ডেল, শিকা, দড়ি, সুতলি, দরজা-জানালার পর্দার কাপড়, গহনা ও গহনার বাক্স তৈরি করছে। জুট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশে পাট থেকে ২৮৫ ধরনের পণ্য তৈরি হয়- যা দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদন হয়। এর অর্ধেকও যদি সঠিকভাবে চারকোল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব। নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাটকাঠি থেকে চারকোল তৈরি করে রপ্তানি করছে। প্রতিমাসে বাংলাদেশ থেকে দুই হাজার টন চারকোল রপ্তানি হয়।

পাট পণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান প্রোডাক্ট পাটের বস্তা এখন অনেক দেশে ধান সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পাট কাটিংস ও নিম্নমানের পাটের সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে নারিকেলের ছোবড়ার সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয় পরিবেশবান্ধব এবং ব্যয়সাশ্রয়ী জুট জিওটেক্সটাইল। জিওটেক্সটাইল ভূমিক্ষয় রোধ, রাস্তা ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদীরপাড় রক্ষা ও পাহাড় ধস রোধে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন ৭০০ কোটি টাকার। স্থানীয় সরকার ও পলস্নী উন্নয়ন, রেল, সড়কসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অবকাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে জিওটেক্সটাইলের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে নানা কাজে মেটাল নেটিং বা পলিমার থেকে তেরি সিনথেটিক জিওটেক্সটাইলের পরিবর্তে পরিবেশ উপযোগী ও উৎকৃষ্ট জুট জিওটেক্সটাইলের কদর বাড়ছে।

পাটখড়ি দিয়ে যে চারকল তৈরি হচ্ছে তা বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা উপার্জন করছে। এটি আরো পরিকল্পিতভাবে রপ্তানির উদ্যোগ নিয়ে বছরে ৫০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয় বাড়বে। এ জন্য পাটখড়ি থেকে উৎপাদিত চারকোলের রপ্তানি বাড়াতে চারকোল নীতিমালা করেছে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয়। এতে চারকোল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, রপ্তানিতে সরকারি প্রণোদনা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, চারকোল শিল্পের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা দূর করার কথা বলা হয়েছে। পাটকাঠি বা পাটখড়িকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুড়িয়ে এরপর শীতলীকরণ ও সংকোচন করে চারকোল তৈরি করা হয়। এই চারকোলে প্রায় ৭৫ শতাংশ কার্বন থাকে। পানি বিশুদ্ধকরণ, আতশবাজি, জীবনরক্ষাকারী বিষনিরোধক ট্যাবলেট, প্রসাধনসামগ্রী, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটারের কালি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে চারকোল ব্যবহার করা হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, পাটখড়ি থেকে অত্যন্ত কম মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ হয় বলে চারকোল শিল্পকে পরিবেশবান্ধব মনে করা হয়। তাই পাটখড়িসহ অন্য যে কোনো উপকরণ থেকে চারকোল উৎপাদন ও এ খাতের শিল্পসমূহকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে নীতিমালাটি করা হয়েছে।

বিশ্ববাজারে পাটখড়ির ছাইয়ের কদর বেড়েছে। এ দেশ থেকে বর্তমানে চীনসহ ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশে পাটখড়ির ছাই রপ্তানি হচ্ছে। ওই ছাইয়ের ভেতরের কার্বন পাউডার থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটো কপিয়ারের কালি (টোনার), আতশবাজি, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ও পলিমার ব্যাটারি, ফেসওয়াশের উপকরণ, প্রসাধন সামগ্রী, মাউথওয়াশ, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ, সারসহ বিভিন্ন পণ্য। পাটকাঠির ছাই থেকে এক ধরনের জ্বালানি চারকোল তৈরি হওয়ার পর তার মধ্যে কার্বনের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়। তবে শুরুতে ওই চারকোলে রান্না শুরু হয়। সাধারণ কাঠের (খড়ি) জ্বালানির দাহ্য ক্ষমতার চেয়ে চারকোলের দাহ্য ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় চাহিদাও বাড়ে। ২০০৯ সাল থেকে চারকোল রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে ফরিদপুর, জামালপুর মাগুরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চারকোল কারখানা স্থাপিত হওয়ায় রপ্তানি বেড়েছে। শুধু চারকোল খাতে বছরে রাজস্ব আসছে অন্তত ৫০ কোটি টাকা। আর ওই খাতে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

পাটের আঁশ, পাটখড়ি বা পাটকাঠি এবং পাটকাঠি পোড়ানো ছাই সবই অতি মূল্যবান। পাট উৎপাদনের পর জলাশয়ে জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে নেয়ার পর উপজাত সাদা রঙের কাঠিই পাটখড়ি। পাটের আঁশ ও কাঠি রোদে শুকানো হয়। এতকাল ওই কাঠি কুঁড়েঘরের বেড়া নির্মাণে ব্যবহার হতো। গ্রামীণ জীবনে মাটির চুলায় রান্নায় জ্বালানি খড়ির সঙ্গে এই পাঠকাঠিও থাকতো। বর্তমানে পাটকাঠি এবং পাটকাঠির ছাই পাটের আঁশের মতোই মূল্যবান। বর্তমানে পাট কাটার মৌসুম চলছে। কৃষক পাট পানিতে জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়িয়ে পাটকাঠি যত্ন করে শুকিয়ে নেয়। আবার কেউ কেউ পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই সংগ্রহ করে রাখছে। কারণ কাঠি আগুনে পোড়ার পর ছাই থেকে রাসায়নিক উপজাত কার্বন তৈরি হয়। আবার অন্যদিকে, কাঠের বিকল্প উপাদান (পারটেক্স জাতীয়) তৈরিতেও পাটকাঠির চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এই জাতীয় কাঠে বুক শেলফ, দরজা ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। কখনো অফসেট কাগজ তৈরিতেও পাঠকাঠির দরকার হয়। আর বিশ্বজুড়ে তো পাটের আঁশের কদর রয়েছেই।

সূত্র আরো জানায়, দেশের কার্বন ফ্যাক্টরিগুলো জুলাই-আগস্ট থেকেই পাটকাঠি কেনা শুরু করে। অক্টোবর থেকে মার্চ, এপ্রিল পর্যন্ত কার্বন মিলগুলো উৎপাদনে থাকে। প্রতি মণ পাটখড়ি থেকে প্রায় ১০ কেজি চারকোল পাউডার বা কার্বন উৎপাদিত হয়। আর দেশে উৎপাদিত কার্বনের ৮০ শতাংশই চীনে রপ্তানি হয়। বাকি ২০ শতাংশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, তাইওয়ানে রপ্তানি হয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারকোল বিক্রেতা গড়ে উঠেছে। কার্বন কারখানার মালিকরা পাট কাটার মৌসুমে পাটকাঠি কিনে ফ্যাক্টরিতে পাঠাতে তাদের এজেন্টদের প্রতিটি এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। আর কৃষকরা এখন পাটের সঙ্গে পাটখড়িও বিক্রি করছে। পাটকাঠির ছাই চারকোল নামেও পরিচিত পাট দিয়ে চট, বস্তা, কাপড়, কারপেট তৈরি হলেও পাটখড়ি এত দিন গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করার কাজে এবং ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হতো। দেশের পার্টিকেল বোর্ড কারখানাগুলোতেও উপকরণ হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহৃত হয়। পাটখড়ির ছাই থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি ও ফেসওয়াশের উপকরণ, মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসাধনপণ্য, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ ইত্যাদি পণ্য তৈরি হয় বিদেশে। পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ৩০ লাখ টন পাটখড়ি উৎপাদিত হয়। এর মাত্র ৫০ শতাংশকেও যদি ছাই করা যায়, তাহলে বছরে উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন। এক টন ছাইয়ের দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ ডলার। এ খাত থেকে বছরে রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ৩১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। আর সরকার এ খাত থেকে বছরে রাজস্ব পাবে ৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রত্যক্ষভাবে ২০ হাজার ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এ খাত থেকে। ছাই উৎপাদনের কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব, বহির্বিশ্বে ছাইয়ের ভালো চাহিদা রয়েছে এবং সহজেই আন্তর্জাতিক বাজার ধরা যাবে। এ কারখানায় বিদু্যৎ বেশি লাগে না, কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগের পরিমাণও খুব বেশি নয়। তা ছাড়া কাঁচামাল পাওয়া যায় সহজেই।

দেশে প্রথম পাটখড়ির ছাই উৎপাদনের কারখানা করেন চীনা নাগরিক ওয়াং ফেই। যৌথ উদ্যোগে তিনি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) থেকে ২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর মিমকো কার্বন কোম্পানি লিমিটেড নামে নিবন্ধন নেন। পরের বছর ২০১২ সালে প্রথমে জামালপুরে এবং পরে খুলনা ও ফরিদপুরে চালু হয় কারখানা। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই কারখানার বার্ষিক আয় ৮০ লাখ ডলার।

পরিবেশের সঙ্গে পাট চাষের নিবিড়বন্ধন। পাটের পরিচয় অর্থকরী ফসল হিসেবে হলেও এখন পরিবেশ সহায়ক হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে আড়ালে থেকে যাচ্ছে পাট চাষে পরিবেশের উপকারী দিকগুলোর কথা। আর এ কারণে একজন পাটচাষির পরিবেশ রক্ষায় অবদানের কথা বিবেচনায় আসছে না। এমনকি যিনি পাটের আবাদ করছেন তিনি নিজেও জানেন না যে, তিনি কেবলই অর্থকরি ফসল হিসেবে নয়, পরিবেশের সহায়ক অসামান্য অবদান রাখছেন। আমরা কেবল পাটের অর্থকরি অবদানের দিকটিই জানি। তবে পাট গাছ যে অর্থকরী, পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী একটি ফসল সে কথা অনেকেরই হয়তো জানা নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পাট ফসলটি নির্মল বাতাস সৃষ্টির অত্যতম কারিগর। কারণ পাট গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে- যা আমরা ত্যাগ করি এবং প্রচুর অক্সিজেন ত্যাগ করে- যা আমরা গ্রহণ করে বেঁচে থাকি। কথা আসতে পারে এ তো বৃক্ষর মতোই। কথা সত্যি হলেও পাট গাছের ক্ষেত্রে আছে অনেক ব্যতিক্রম অবদান- যা ফসলি জমির উবর্রতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে করে সমৃদ্ধ। পাট একটি জলবায়ু সহনশীল ফসলও বটে। কারণ সাময়িক খরা কিংবা জলাবদ্ধতায় পাট ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। পাট উৎপাদনে খুবই কম পরিমাণের সার প্রয়োজন হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, একজন কৃষক এ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করলে তা মোট ১০০ দিনে ১৫ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রকৃতি থেকে শোষণ করে, আর ১১ টন অক্সিজেন প্রকৃতিকে দেয়। পাটজাত দ্রব্য সহজে মাটিতে মিশে যায় বলে, প্রক্রিয়াকৃত পাটজাত দ্রব্যও পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। পাট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ১০ লাখ হেক্টর জমিতে পাট জাতীয় ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। এ থেকে বছরে ৮৪ থেকে ৯০ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে