সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষের সম্ভাবনা বাড়ছে

ইমরান ছিদ্দিকি
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে পানীয় হিসেবে চায়ের পরেই কফির স্থান। কফির সুঘ্রাণে মন কতটা আন্দোলিত হয় তা নতুন করে না বললেও হবে। দেশে এখনো চায়ের বিকল্প হিসেবে কফি জায়গা করে না নিলেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে দেশে কফির উৎপাদনও বাড়ছে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, সিলেট, টাঙ্গাইল, রংপুর ও নীলফামারীতে কফি উৎপাদিত হচ্ছে। পাহাড়ে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দীর্ঘ দুই যুগ আগে আরম্ভ করা কফি চাষ সাড়া জাগাচ্ছে। কফি চাষিদের আগ্রহে বাণিজ্যিক উৎপাদনে বান্দরবানে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেকে। পাহাড়ে উৎপাদিত অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা দুই জাতের কফি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

কফি ফলের পরিপক্ব বীজ ভেজে গুঁড়া করে কফি তৈরি করা হয়। বিশ্বের প্রধান কফি উৎপাদনকারী দেশ হচ্ছে- ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, গুয়েতেমালা। কফি গাছ ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচার ইতিহাস আছে। কফি গাছ লাগানোর ৩ বছর পর ফল দেয়। যদিও বেশি পরিমাণ ফল পেতে ৬ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এটি অর্থকরী ফসল হওয়ায় কফি চাষ করে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন হবে তেমনি এটি বহুমাত্রিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ বলে জনগণের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করবে। কফি জঁনরধপবধব পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কফি একটি চিরসবুজ, ছোট বৃক্ষ জাতীয় গাছ। পাতা সরল, চওড়া, গাঢ় সবুজ বর্ণের। ফুল সাদা, সুগন্ধযুক্ত এবং প্রতি কুড়িতে ২-২০টি ফুল থাকতে পারে। ফল ড্রুপ, লাল বা হলদে বর্ণের এবং আকারে অনেকটা গোলাকার।

কফি গাছ সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রম্নয়ারি মাসে ফুল আসে এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু কফি চাষের অনুকূল, তবে ভালো ও উন্নত স্বাদের ও ঘ্রাণের কফি পেতে এর চাষ সম্প্র্রসারণের জন্য পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কফি চাষের উপযোগী মাটি হলো গভীর, ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থসমৃদ্ধ ও হিউমাসসমৃদ্ধ, হালকা অম্স্ন মাটি (পিএইচ ৪.৫-৬.৫)। কফি হালকা ছায়ায় ভালো হয় এবং অতিরিক্ত সার ও সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না- যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে চাষ করলে সার ও সেচের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া এর সঙ্গে আন্তঃফসল হিসেবে পেঁপে, আনারস, গোলমরিচ অনায়াসে চাষ করা যায়।

দেশে কফি ২০২২ সালে উৎপাদন হয়েছে ৬২ টন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দেশে বছরে কফির চাহিদা ৯০০ থেকে ১ হাজার টন। সে হিসাবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ কফি উৎপাদন হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ফলে কফি চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু দেশেই কফির বাজার প্রায় ৫০০ কোটি টাকার। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নতুন প্রজন্ম এখন কফি পানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর পাশাপাশি মফস্বল শহর, এমনকি গ্রামেও রাস্তার পাশে চায়ের দোকানেও কফি বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দেশে কফির বাজারের বড় সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে দেশের পার্বত্য জেলাগুলোয় সীমিত পর্যায়ে সনাতন পদ্ধতিতে কফির চাষ শুরু হয়। তা এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু পাহাড়ে নয়, কফি চাষ ছড়িয়ে পড়েছে নীলফামারী, টাঙ্গাইল ও মৌলভীবাজারসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায়। সম্প্রতি বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার অনেক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনদিন কফির আবাদ বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে কফির জাত, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন আর কফি চাষে কৃষকদের দক্ষ করে তুলতে সরকার নানা প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার কৃষক সুরেন চাকমা বলেন, বাগানে সেচ দেওয়া গেলে কফির ভালো ফলন হয়। এছাড়া দামও অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি। কফি চাষে আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। একটু আবছায়া অঞ্চলেই কফির চাষ ভালো হয়। বড় কোনো ফলদ বৃক্ষের পাশে অনায়াসেই কফির চারা রোপণ করা যায়। ফল আসতে বছর তিনেক সময় লাগে।

বাংলাদেশে দুই ধরনের কফির চাষ হচ্ছে। একটি আফ্রিকার জাত কফিয়া ক্যানিফোরা- যা রোবাস্তা কফি নামে পরিচিত। অন্যটি কফিয়া অ্যারাবিকা। বিশ্বজুড়ে বিপুল চাহিদার এই কফিটি পর্বত-কফি নামেও বেশ পরিচিত। কৃষকরা জানান, পাহাড়ে স্থান ভেদে গাছের আকার আকৃতি ভিন্ন হয়। ফলনেও ভিন্নতা দেখা যায়। তবে প্রতি গাছে গড় ফলন হয় ৭ থেকে ১০ কেজি। সে হিসাবে প্রতি হেক্টরে রোবাস্তার ফলন সাড়ে ৭ হাজার থেকে ১১ হাজার কেজি। আর প্রতি অ্যারাবিকার ফলন সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার কেজি। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু বাণিজ্যিক কফি চাষের জন্য উপযোগী। অ্যারাবিকা জাতের জন্য তুলনামূলক বেশি উচ্চতার প্রয়োজন হয়। রোবাস্তা বাংলাদেশের সব ধরনের উচ্চতায় ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। ফুল ফোটার সময় সেচ দিলে বেশি ফলন পাওয়া যায়। কফি গাছে রোগ বালাইয়ের ঝুঁকি কম, তাই অল্প পরিচর্যায় এর চাষ সম্ভব। পাহাড়ে কফি ও কাজুবাদাম চাষের সম্প্রসারণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পার্বত্য জেলাগুলোতে বিগত কয়েক বছর যাবত বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ হয়ে আসছে। খাগড়াছড়িতে অবস্থিত পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে কফি উৎপাদিত হচ্ছে- যা গুণগতভাবে আন্তর্জাতিক মানের। রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্নস্থানে কফির প্রদর্শনী পস্নট স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বেশ কিছু কফি বাগান গড়ে উঠেছে।

সিলেটের এক সময়ের অনাবাদি টিলাগুলোতে কফি চাষ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এসব কফি বাজারজাত করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন চাষিরা। প্রবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় উদ্যোক্তারা নিজেদের টিলায় বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। ধীরে ধীরে এ চাষ বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনেকে শখের বশে আগে সিলেটে নিজেদের টিলায় সামান্য কিছু কফি গাছের চারা রোপণ করেন। তবে সিলেট জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। এ পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টর টিলাশ্রেণি জমিতে কফি চাষ করা হয়েছে। অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা জাতের কফি এখানে চাষাবাদ হয়েছে। স্থানীয় কফি বাগানের উদ্যোক্তারা জানান, একটা সময়ে অনেকটা অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকা টিলাগুলোকে চাষের আওতায় নিয়ে এসেছেন তারা। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে এসব টিলায় কফি চাষ হচ্ছে। এখন যেসব কফির চারা রোপণ করা হচ্ছে, সেখান থেকে অন্তত দুই বছর পর ফল সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হবে। কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষাবাদে উৎসাহিত হচ্ছেন। অনাবাদি টিলাগুলো আবাদের আওতায় আসায় কৃষকরা আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হবেন। এমনকি অনেকে অনাবাদি টিলাগুলোকে আবাদের আওতায় এনে নানা ধরনের ফলের গাছ রোপণ করছেন। সিলেট অঞ্চল কফি চাষের জন্য বিরাট সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। অনেকেই এখন কফি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। গত দুই বছর আগে চাষাবাদ করা কফিগাছে ফলও এসেছে। এসব কফি এখন হারভেস্ট পর্যায়ে চলে এসেছে।

কফির স্থানীয় চাহিদা অনেক, রপ্তানির সুযোগও আছে- তাই বাড়তি উৎপাদিত কফি হতে পারে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বিকল্প আয়ের উৎস। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ। কৃষি উদ্যোক্তা, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, বেসরকারি সংস্থা ও বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা এবং মিডিয়াকে কফি চাষে এগিয়ে আসতে হবে। এর মধ্যেই কিন্তু সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ধীরে ধীরে এগুচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগও।

বাংলাদেশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কফির উৎপাদন, সম্প্রসারণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বেশ কিছু গুরুত্বপূণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে অতি সম্প্র্রতি রাজস্ব বাজেটভুক্ত প্রায় দুইশ' কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী কফির বর্তমান অবস্থা নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ, চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ এবং নতুন বাগান সৃজনে উদ্বুদ্ধকরণ, গুণগতমানসম্পন্ন কফির চারা/ কলম সরবরাহ, চাষ বৃদ্ধির জন্য হাইব্রিড কফির কলম সংগ্রহ ও বিতরণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশে এখন ৭৫টি হর্টিকালচার সেন্টারের কফির বাণিজ্যিক চারা, কলম উৎপাদন ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকায় এ দেশে কফি চাষ বাড়ানো সম্ভব। আধুনিক প্রক্রিয়াজাত মেশিন ও প্রযুক্তি সহজলভ্যতা হলে এর চাষ বৃদ্ধি পাবে। তাহলেই কফির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও বৃদ্ধি করা যাবে। খরপোশের কৃষি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশের কৃষি হবে বাণিজ্যিক কৃষি। এভাবেই কৃষি ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।

চা'য়ের ন্যায় কফিও পাহাড়ের টিলার ঢালেই বেশি চাষ করা হয়। জমিকে আগাছামুক্ত করে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। তবে কফি গাছ ছায়া পছন্দ করে বিধায় জমিতে বিদ্যমান কোনো বড় গাছ থাকলে তা রেখে দিতে হবে। পাহাড়ের ঢালে ট্রেসিং এবং কন্টুর পদ্ধতি অনুসরণ করে কফি গাছ লাগানো যেতে পারে। কফির বীজ ও কলম থেকে চারা তৈরি করা যায়। বীজ থেকে চারা তৈরি করতে প্রথমে নির্বাচিত জাতের কফি গাছ থেকে সম্পূর্ণ পরিপক্ব, পুষ্ট এবং রোগ ও পোকার আক্রমণমুক্ত ফল সংগ্রহ করা হয়। এরপর ফলের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে চালুনির মাধ্যমে ছেকে ভালো বীজগুলোকে আলাদা করা হয়। বীজগুলো ভালোভাবে শুকানোর জন্য শুকনা কাঠের গুঁড়া বা ছাইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ছায়াতে ছড়িয়ে রাখা হয়। এরপর বীজের উপর খুব ছোট দানার মাটির গুঁড়া ছিটিয়ে পাতলা আবরণে ঢেকে দেওয়া হয়। বীজতলার উপরে ৫ সেন্টিমিটার পুরু করে খড় বিছিয়ে তার উপর নিয়মিত ঝাঁজরি দিয়ে পানি সেচ দিতে হয়। বীজতলায় যাতে সরাসরি সূর্যালোক না পড়তে পারে সেজন্য ছাউনির ব্যবস্থা করতে হয়। বীজ বপনের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে বীজ গজিয়ে যায়। এরপর ফেব্রম্নয়ারি-মার্চ মাসে এই চারাকে দ্বিতীয় নার্সারি বেডে বা পলিব্যাগে স্থানান্তর করা হয়। খুব সকালে বা পড়ন্ত বিকালে এ কাজটি করা হয়। পলিথিনের মাটির মিশ্রণ হবে দো-আঁশ মাটি ৬ ভাগ, গোবর বা কম্পোস্ট ২ ভাগ এবং বালু ১ ভাগ। নিয়মিত পানি সেচ দেওয়ার পাশাপাশি চারার বয়স ২ মাস হলে ৪.৫ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার গুলিয়ে ১ বর্গমিটার স্থানের চারার উপর স্প্রে করলে সুস্থ-সবল চারা পাওয়া যায়। বীজতলার উপরের ছাউনি পাতলা করে দিতে হবে এবং বর্ষার শুরুতে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে হবে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কফির চারা রোপণ করা উত্তম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে