শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি

সৃজনশীল স্নাতক তৈরিতে অগ্রগণ্য

ক্যাম্পাস ডেস্ক
  ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

কর্মমুখী, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইমামুল কবীর শান্ত প্রিয়ভাজন সংগঠক বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় 'শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি।

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় সূচনালগ্ন থেকেই ফ্যাকাল্টি অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস এবং ফ্যাকাল্টি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড জেনারেল স্ট্যাডিজ এই তিনটি অনুষদের অধীনে যুগোপযোগী ১৮টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গ্রাফিক ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার বিভাগ দুটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতেই পড়ানো হয়। আর ফ্যাশান ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং ম্যানেজমন্ট ও টেকনোলজি এবং নৃত্য বিভাগ প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ই শুরু করে। উত্তরা ১৭নং সেক্টরে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। এ পর্যন্ত দুটি সমাবর্তন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখানে সব বিভাগের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পূর্ণ ও খন্ডকালীন অভিজ্ঞ শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্জের দায়িত্বে আছেন প্রফেসর শামসুন নাহার ও রেজিস্ট্রার- স্থপতি হোসনে আরা রহমান। মানসম্পন্ন সৃজনশীল শিক্ষা দানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগের জন্য আধুনিক ল্যাব ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির অধীনে পরিচালিত চার বছরমেয়াদি শিক্ষার জন্য রয়েছে প্রায় ২৫০০ ঘণ্টা ক্লাসরুম। একই সঙ্গে শিক্ষাকে বাজার উপযোগী করে সুসমন্বয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানে রয়েছে সহায়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- ক্রিয়েটিভ ম্যানিকুইন্স, ক্রিয়েটিভ ফার্নিচার, আর্ট হাট অ্যান্ড গ্যালারি, শান্ত-মারিয়াম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, শান্ত-মারিয়াম সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভ মিডিয়া, দৈনিক আজকের প্রত্যাশা, শান্ত-মারিয়াম ফ্যাশনস, শান্ত-মারিয়াম নিট কম্পোজিট এবং ক্রিয়েটিভ হাব। এদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত গার্মেন্টশিল্পসহ তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন প্রকল্প, মিডিয়া, অ্যাডফার্ম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও এই শিক্ষার্থীরা উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখছে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম সারাদেশে বিস্তৃত করে ছোট ছোট গার্মেন্টস ভিলেজ ও ক্রাফটস ভিলেজ তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি।

অনুরূপ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড জেনারেল স্ট্যাডিজের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে চাকরিতে অংশগ্রহণ এবং কর্মসংস্থান তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের উলেস্নখযোগ্য অর্জনগুলো হচ্ছে- ২০১১ সালে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ জার্সি ডিজাইনার, স্টাইলগুরু চ্যাম্পিয়ন, জামদানি জাদুঘর অ্যাওয়ার্ড, ২০১৯ এশিয়ান ফ্যাশনস এক্সেসরিজ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড (১ম, ২য়, তলায়), ভিট ল্যাকমি ফ্যাশনস, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, এনটিভি ক্লোজ আপ ওয়ান, আরটিভি অ্যানুয়াল অ্যাওয়ার্ড, বেঙ্গল প্রতিভা বিকাশ, আর্টিস্ট আমিনুল ইসলাম ট্রাস্ট ফ্যালো-শিপ, ইউরোশিয়া ওয়াটার কালার গোল্ড মেডেল ক্রিকেট এবং ফুটবলে জাতীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচুর সুনাম অর্জন করেছে। যেমন- ক্লেমন ইনডোর ও আউটডোর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, যেখানে ৩২টা পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে এবং গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত। ক্রিকেটে আমাদের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শিফন কলাবাগান স্পোটিং ক্লাবের ক্যাপ্টেন। নরওয়েতে যে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটি ফুটবল টুর্নামেন্ট হয় সেখানে আমাদের জিডি ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে। তাছাড়া আমাদের আরও কিছু স্টুডেন্ট আছে এর মধ্যে কেউ মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবে খেলে কেউ ব্রাদার্স স্পোটিং ক্লাবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসে নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বিভিন্ন জাতীয় দিবস, যেমন একুশে ফেব্রম্নয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস ইত্যাদি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়। কর্মমুখী, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন শিক্ষা সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত কম টিউশন ফি নিয়ে থাকে, যা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য এবং আছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এ বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি-এর বাইরে উন্নয়ন ফি' বা অন্যকোনো খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে না। সম্প্রতি তৈরি নিজস্ব ক্যাম্পাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়। এসব সুযোগ-সুবিধার কারণে কর্মমুখী, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব কর্মস্থলে কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ গ্রহণসহ উদ্যোক্তা হিসেবেও উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে। আর এজন্য শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়কে 'ক্রিয়েটিভ ডেসটিনেশন অব দ্য নেশন' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

করোনা দুর্যোগের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি অনলাইন শিক্ষাদানে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখে অনলাইন শিক্ষাদানে অন্তর্ভুক্ত হয়। যেখানে প্রথমেই সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। কারও দ্রম্নতগতির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে সে বিষয়টিও অভিভাবকদের সমন্বয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এবং পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমও অত্যন্ত সফলভাবে চলছে।িি.িংসঁপঃ.বফঁ.নফ শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অন ক্যাম্পাস শিক্ষার পাশাপাশি দূরশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের একই ছাদের নিচে অন্তর্ভুক্ত করে দেশব্যাপী শিক্ষার এক ব্যতিক্রমী হাব হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করার পথে কাজ করছিল। তারা পাচ্ছে সময়ের সেরা অনলাইন শিক্ষাসেবা, আর কর্তৃপক্ষ মনোযোগ দিচ্ছেন আরও নতুনত্বের পথে বিশ্বসেরা অনলাইন শিক্ষাদানের গবেষণায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে