শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচকলা

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ০৯ জুন ২০২১, ০০:০০

কলা খুবই সহজলভ্য ফল। ফল হিসেবে কলার যেমন কদর রয়েছে- ঠিক তেমনি আবার সবজি হিসেবেও বেশ ভালো রয়েছে সুস্বাদু পুষ্টিগুণ ভরপুর এই ফলের। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলকে সবজি হিসেবে খাওয়ার ফলে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকার আসে। এতে কার্বোহাইড্রেড, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি এবং আরও নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। কলায় থাকা ভিটামিন-সি রক্তে হিমোগেস্নাবিন তৈরি করে- যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহণ করে।

এছাড়াও উপাদানে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। চলুন কাঁচকলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

ওজন কমায় : কাঁচকলা ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এতে করে ক্যালরিবহুল অন্যান্য খাবার থেকে দীর্ঘ সময় বিরত থাকা যায়। যারা ওজন কমাতে চান তারা খাদ্য তালিকায় কাঁচকলা রাখুন। এছাড়াও আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ বার্ন করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে কাঁচকলা।

শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে : কাঁচকলা সাধারণত আঁশযুক্ত, তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাকা ভিটামিন-বি৬ গস্নুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিস ঠেকাতেও সহায়তা করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি : কাঁচকলা খাওয়ার ফলে পেটের ভেতরে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় খুব সহজেই হজম হয় এটি। এনজাইমসমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়রিয়া এবং পেটের বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করে থাকে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। হৃদরোগে অনেক উপকারী এই পটাশিয়াম উপাদান। নিয়মিত কাঁচকলা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ : কাঁচকলা খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশনকে দূর করে কোলনকে ভালো রাখে। দীর্ঘমেয়াদি কোলন সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে কাঁচকলা।

হাড় মজবুত : নিয়মিত কাঁচকলা খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় হ্রাস পায়। এ কলায় ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড়ের জন্য অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কাঁচকলা রাখতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে