সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ত্বকের রোগ

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখে যে দাগগুলো নিয়ে বেশির ভাগ মানুষ সমস্যায় ভোগেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেছতা ও ফ্রিকল বা কালো তিল। এর মধ্যে মেছতা একটি অন্যতম বিড়ম্বনার কারণ, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। তাই আসুন জেনে নিই এ রোগ দুইটি নিয়ে কিছু তথ্য-

মেছতা : এটি মূলত মহিলাদের মুখে কালো দাগের সৃষ্টি করে, তবে পুরুষের ক্ষেত্রেও হতে দেখা যায়। মেছতার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। যেমন- মেছতা জেনেটিক, মেছতা কন্ট্রাসেপটিকা, মেছতা প্রেভিডেরাম, মেছতা আয়ারট্রোজেনিকা, মেছতা ইউমোনোলজিক্যাল, মেছতা ইডিওপ্যাথিকা, মেছতা কসমেটিকা, মেছতা এন্ড্রোক্রাইনোপ্যাথিকা, মেছতা হেপাটিকা, মেছতা একটিনিকা, মেছতা মেনোপোজাল।

মেছতার চিকিৎসা : এমসিডি (মাইক্রোডার্মোঅ্যাব্রসন) একটি যন্ত্র। ঘূর্ণায়মান ডায়মন্ড ফ্রেইজের মাধ্যমে এটি কাজ করে থাকে। এতে দাগযুক্ত স্থানের অনেকটাই ঘূর্ণায়মান ডায়মন্ডের সাহায্যে তুলে নেয়া যায়। তারপর মেছতার দাগ দূরীকরণে ব্যবহৃত ওষুধ সেখানে লাগাতে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি যাতে মুখে না লাগে তার জন্য সানস্ক্রিন ক্রিম লাগাতে দেয়া হয়। ফল এক কথায় চমৎকার।

কেমিক্যাল পিলিং : এটি একটি কেমিক্যাল এজেন্ট- যা বিশেষ মাত্রায় প্রয়োগ করে মেছতা দূর করা হয়।

ক্রায়োথেরাপি : এটি ক্রায়ো এজেন্ট যা অতি হিমাঙ্কে প্রয়োগ করা হয়। যাতে প্রথমে ফোস্কা পড়ে এবং কিছুদিন পর চলতা ধরে শুকনো ফোস্কাযুক্ত ত্বক ঝরে পড়ে যায় এবং সেখানে ভেতর থেকে ত্বক গজাতে থাকে।

ফ্রিকল বা কালো তিল : অতীতে কেমিক্যাল পিলিং করা হতো। বর্তমানে লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে সাফল্যজনক ফল পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রিকল বা মুখের কালো তিলযুক্ত রোগীদের একটি পরামর্শ না দিলেই নয়। মনে রাখবেন, যাদের মুখে তিল বা ফ্রিকল আছে তারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন যেন মুখে সানলাইট না পড়তে পারে। সে জন্য সানস্ক্রিন হলো একটি অতি উত্তম ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা। তা পাওয়া সম্ভব না হলে একটি ছাতার ব্যবহারও আপনার মুখের ত্বককে ভালো রাখতে পারে।

\হ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে